আবারও বন্যার পদধ্বনি সিলেট ও সুনামগঞ্জে
নিউজ ডেস্ক
সিলেট অফিস
সত্যবাণী
দেশের অভ্যন্তরে এবং উজানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়ায় আগামী ৩ দিনে সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। ২৮ জুন শুক্রবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এমন পূর্বাভাস দিয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে, যা ২৯ জুন শনিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানির সমতল বাড়ছে, যা ৩০ জুন রোববার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে আগামী ৩ দিনে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদীসমূহের পানির সমতল বাড়তে পারে। এ সময়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা, পুরাতন সুরমা, সারি-গোয়াইন নদীর পানির সমতল দ্রুত বেড়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার কিছু নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
এদিকে, আগামী ৪ জুলাই পর্যন্ত দেয়া এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানির সমতল স্থিতিশীলভাবে বাড়তে পারে। তবে এ সময়ে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকায় পানির সমতল বিপৎসীমা অতিক্রমের সম্ভাবনা নেই। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীলভাবে বাড়তে পারে। তবে পানির সমতল বিপৎসীমা অতিক্রমের সম্ভাবনা নেই। ঢাকার চারপাশের নদীসমূহের পানির সমতলও স্থিতিশীলভাবে বাড়তে পারে। তবে বিপৎসীমা অতিক্রমের সম্ভাবনা নেই।
বর্তমানে কুশিয়ারার পানি মারকুলিতে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাউবো জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের পর্যবেক্ষণাধীন ১১০টি স্টেশনের মধ্যে শুক্রবার পানির সমতল বেড়েছে ৪৭টিতে, কমেছে ৫৫টিতে। অপরিবর্তিত আছে একটি স্টেশনের পানির সমতল। তথ্য পাওয়া যায়নি একটির।