আবারও শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হলেন হরিনি আমারাসুরিয়া
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
শ্রীলঙ্কা: ভারতীয় মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হরিনি আমারাসুরিয়াকে পুনরায় নিয়োগ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমার দিশানায়েকে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) তাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেয়া হয়। খরব রয়টার্সশ্রীলঙ্কার সাধারণ নির্বাচনে ২২৯ আসনের মধ্যে অনূঢ়ার বামপন্থী জোট ১৫৯টি আসন পেয়েছে। দিশানায়েকে তার সরকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রবীণ বিধায়ক বিজিথা হেরাথকে নিয়োগ দিয়েছেন।
সোমবার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দিশানায়েকে নতুন কোনো অর্থমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেননি। তবে তিনি জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হওয়ার পর অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তিনি নিজে যেভাবে পরিচালনা করেছেন সেভাবেই পরিচালনা করবেন।শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে বছরের পর বছরে ধরে পারিবারিক আধিপত্য চলেছে। তবে গত সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দিশানায়েকে জয়ী হওয়ার মধ্য দিয়ে সেই আধিপত্যের অবসান হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে দিশানায়েকে প্রধানমন্ত্রী পদে আমারাসুরিয়াকে নির্বাচিত করেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেন হেরাথকে। নতুন সরকারে তিনি তাদেরকেই পুনর্বহাল করেন।সেপ্টেম্বরে অনূঢ়া যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তখন দেশটির পার্লামেন্টে তার নির্বাচনী জোট এনপিপির আসন ছিল মাত্র তিনটি। পার্লামেন্টে নিজ জোটের আসনসংখ্যা বাড়াতে তিনি আগাম নির্বাচন দেন। এখন তার জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করল।
২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যা দেশ শ্রীলঙ্কা ২০২২ সালে ব্যাপক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়ে। দেশটিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানীতে ঠেকে।সেই বছরের জুলাই মাসেি অর্থনৈতিক সঙ্কটের আবহে প্রবল জনবিক্ষোভের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছাড়েন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা এবং তাঁর ভাই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া। পরবর্তীতে পার্লামেন্ট সদস্যদের ভোটাভুটিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছিলেন রনিল। কিন্তু যে অর্থনৈতিক সঙ্কট রাজাপাকশের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভকে উসকে দিয়েছিল, তা খুব বেশি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি রনিল।রনিলের নেতৃত্বে অনাস্থা জ্ঞাপন করে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ৫৬ বছরের অনূঢ়াকে লঙ্কাবাসী প্রেসিডেন্ট হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট হয়েই পার্লামেন্ট ভেঙে নতুন করে নির্বাচনে সক্রিয় হন তিনি। ফল বলছে সেখানেও সাফল্য মিলল তাঁর।বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, নতুন প্রেসিডেন্ট দিশানায়েকের নির্বাচনী পরিশ্রুতি দক্ষিণ এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পাল্টে দিতে পারে।