আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে :ড. এ কে আব্দুল মোমেন
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এমপি বলেছেন, ‘আমাদের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির হাজার বছরের ঐতিহ্যকে আরো সমৃদ্ধ করতে দেশের শিল্পী, সাহিত্যিক এবং সংস্কৃতিকর্মীদের আরও বেশি মনযোগী হতে হবে।২১ জুলাই শুক্রবার সকালে সিলেটে জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা ২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান এবং জেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সাংস্কৃতিক ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ। সিলেট অঞ্চলের অনেক মনীষী আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিশিষ্টতা দিয়েছেন। বিশেষ করে হাসন রাজার গান, শাহ আব্দুল করিমের গান এবং ওনাদের সৃষ্টিশীল কর্ম মানুষের মনে চিরস্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। এর কারণ সম্ভবত এসব গুণীজন একাধারে গান রচনা, সুরারোপ, সংগীত চর্চায় আত্মনিবেদিত ছিলেন। সে কারণে তাঁদের সৃষ্টি অনন্য এবং অমর হয়ে আছে।তিনি বলেন, শুধু সিলেট অঞ্চলের নয়, আমাদের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, সাহিত্যিক মীর মোশাররফ হোসেন, এরকম অনেক গুণীজন তাদের অনন্য সৃষ্টি রেখে গেছেন। এদের মতো করে শিল্প ও সংস্কৃতি চর্চায় মনোনিবেশ করলে আমাদের সংস্কৃতি আরো সমৃদ্ধ হবে, আরও বৈচিত্রময় হবে। আর সেজন্য আজ যারা শিল্পকলার বিভিন্ন শাখায় অবদানের জন্য সম্মাননা পেলেন এবং আগামীতেও যারা পাবেন, তারা এসব সৃষ্টিশীল কাজে আরও বেশি মনোনিবেশ করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার আমাদের সংস্কৃতি চর্চায় সব ধরণের সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে। জেলা, উপজেলাপর্যায়ে শিল্পকলার নিয়মিত কর্মকা- আয়োজনে সরকারি ব্যবস্থাপনা পূর্বের চেয়ে এখন অনেক বাড়ানো হয়েছে। গুণীজনদের কাজের সরকারি স্বীকৃতি হিসেবে শিল্পকলা একাডেমির সম্মাননা সংস্কৃতি কর্মীদের উৎসাহিত করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে ৫ গুণী ব্যক্তিত্বের হাতে ‘জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা ২০২২’ তুলে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন, লোকসংস্কৃতিতে মিহিরকান্তি চৌধুরী, কণ্ঠসংগীতে পূর্ণিমা দত্ত রায়, নাট্যকলায় চম্পক সরকার, আবৃত্তিতে জ্যোতি ভট্টাচার্য, যন্ত্রসংগীতে (বাঁশি) মো. মিনু মিয়া।অনুষ্ঠানে সিলেটের গুণীজন, শিল্প-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গন এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশগুপ্ত।