ইইউ ব্রেক্সিট চুক্তি লঙ্ঘন করেছে, দাবি ব্রিটেনের
মতিয়ার চৌধুরী
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, সত্যবাণী
লন্ডনঃ নর্দান আয়ারল্যান্ডের ইস্যুটির পর নতুন করে আবার ব্রিটেন-ইইউ বিরোধ শুরু হয়েছে, ব্রিটেনের দাবী বৈজ্ঞানিক গবেষণা উদ্যোগ থেকে বাদ দিয়ে ব্রেক্সিট চুক্তির শর্তাবলী লঙ্ঘন করেছে ইইউ । পররাষ্ট্র সচিব এবং টোরী দলের নেতৃত্বের দৌড়ে সামনে থাকা লিজ ট্রাষ্টের মতে বাণিজ্য ও সহযোগিতা চুক্তিটিই ছিল “স্পষ্ট লঙ্ঘন”। তিনি জানান, এবিষয়ে তার সরকার আনুষ্ঠানিক বিরোধ আলোচনার অনুরোধ করতে ব্রাসেলসকে চিঠি দিয়েছে।
ব্রিটেন সরকার জোর দিয়ে বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্রিটেনকে পৃথিবী পর্যবেক্ষণ প্রোগ্রাম কোপার্নিকাস, পারমাণবিক গবেষণা প্রোগ্রাম ইউরাটম, মহাকাশ নজরদারি এবং ট্র্যাকিং প্রোগ্রাম এবং বিজ্ঞান গবেষণার জন্য দিগন্ত প্রোগ্রামে প্রবেশাধিকার দিচ্ছেনা।ইইউ চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করছে, বারবার এইগুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রামগুলিতে অ্যাক্সেস চূড়ান্ত করতে অস্বীকার করে গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক সহযোগিতাকে রাজনীতিকরণ করতে চাইছে, বলে মন্তব্য করেন লিজ ট্রাস, যা দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ।তিনি জোর দিয়ে বলেছেন “আমরা এটা চালিয়ে যেতে দিতে পারি না। এ নিয়ে ব্রিটেন আনুষ্ঠানিক পরামর্শ শুরু করেছে এবং বৈজ্ঞানিকগবেষণা রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে।”
নর্দান আয়ারল্যান্ড প্রোটোকল নিয়ে চলমান ব্রেক্সিট বিরোধের কারণে জুলাই মাসে ব্রিটিশ একাডেমিক শিক্ষাবিদ এবং বিজ্ঞানীদের জন্য হরাইজন প্রোগ্রাম থেকে ১১৫ টি ফান্ড বাতিল করা হয়েছিল।
তৎকালীন ব্রেক্সিট মন্ত্রী ডেভিড ফ্রস্ট সফলভাবে £৮0 বিলিয়ন হরাইজন ইউরোপ উদ্যোগের সহযোগী সদস্যপদ নিয়ে আলোচনাকরার পর, ব্রিটিশ আবেদন কারীদের জন্য অনুদান গৃহীত হয়েছিল, সেই অনুদানের অধিকাংশই এখন প্রত্যাহার করা হচ্ছে।ব্রিটেনের এই স্কিমে অংশ নেওয়ার জন্য সাত বছরে ১৫ বিলিয়ন পাউন্ডের সদস্য ফি প্রয়োজন। একটি অংশীদারিত্ব কাউন্সিলের মাধ্যমে আলোচনার সূচনা হল বিরোধ পদ্ধতির প্রথম পর্যায়। যদি এটি ব্যর্থ হয়, বিষয়টি একটি সালিশি ট্রাইব্যুনালে পাঠানো যেতে পারে, সেটি যদি উভয় পক্ষ চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে অ–সম্মতির জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে সালিশী আদালত।