ইউক্রেন ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞার পথে বাইডেন, পাল্টা হুঁশিয়ারি পুতিনের
আন্তজার্তিক ডেস্ক
সত্যবাণী
যুক্তরাষ্ট্রঃ ইউক্রেন ইস্যুসহ পূর্ব ইউরোপে নিরাপত্তা নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ন। ৫০ মিনিটের এই আলাপে উভয় নেতা একে ওপরকে হুমকি দিয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত আড়াইটার পরে উভয় নেতা ফোনে কথা বলেন। এসময় ইউক্রেন ইস্যুতে প্রয়োজন হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কথা বলেন জো বাইডেন। অবশ্য বাইডেনকে উদ্দেশ করে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুতিন।রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে তা বিশাল ভুল হবে এবং মস্কো-ওয়াশিংটন সম্পর্কে ফাঁটল সৃষ্টি করবে।ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে রাশিয়ার সৈন্য সমাবেশকে ঘিরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ও উদ্বেগের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রায় ৫০ মিনিট বৈশ্বিক এই দুই পরাশক্তি দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। ইউক্রেনকে নিয়ে এই সংকট সম্প্রতি আরও গভীর হয়েছে কারণ ক্রেমিলন নিরাপত্তার বর্ধিত নিশ্চয়তা চাইছে।
মূলত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অনুরোধের প্রেক্ষিতেই এই ফোনালাপটি আগামী ১০ জানুয়ারি জেনেভায় অনুষ্ঠিতব্য উচ্চপর্যায়ের আলোচনার আগেই অনুষ্ঠিত হলো।হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলেছেন, বৃহস্পতিবারের এই ফোনালাপ ওয়াশিংটন সময় বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে শুরু হয় এবং শেষ হয় ৫০ মিনিট পরে। মস্কোতে সেসময় প্রায় মধ্যরাত। এই দুই নেতার মধ্যে চলতি মাসে যা ছিল দ্বিতীয় ফোনালাপ।রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকফ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের (নিষেধাজ্ঞা আরোপ) পদক্ষেপ দুই দেশের সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভাঙ্গন ধরাবে। তিনি দাবি করেন, ‘এটি হবে বড় ধরনের ভুল যার পরিণতি হবে মারাত্মক।রাশিয়া পরিষ্কার করেই বলেছে যে, ইউক্রেনকে কখনোই পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাশিয়া লিখিতভাবে চায়। এমনকি সোভিয়েত ইউনিয়নের সাবেক এই প্রদেশে ন্যাটোর সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করা হবে না। এমন প্রতিশ্রুতিও চায় মস্কো। অবশ্য বাইডেন প্রশাসন স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, রাশিয়ার এই দাবিগুলো কার্যকর হতে পারে না।