এসআই আকবর পুলিশের জন্য লজ্জা,বিদেশ পালালেও ফিরিয়ে আনা হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
সিলেট: এসআই আকবরকে পুলিশের জন্য লজ্জা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন,এ রকম দু-একজন কুলাঙ্গারের কারণে পুলিশ বাহিনীও লজ্জিত। পুলিশের কেউ তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে না। সুষ্ঠু তদন্ত চলছে।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হানের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিয়ে তিনি এসব কথা জানান। এ সময় রায়হান হত্যার ন্যায়বিচারেরও আশ্বাস দেন তিনি।ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, শিশু রাজন হত্যার আসামি কামরুল সৌদি আরব পালিয়ে গিয়েও বাঁচতে পারেননি, তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করা হয়েছে। রায়হান হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত পুলিশের এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া (সাময়িক বরখাস্ত) বিদেশে পালিয়ে গেলেও তাকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হবে। তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।তিনি বলেন, সিলেটে কেউ অপকর্ম করে বাঁচতে পারেননি। সবার বিচার করা হয়েছে। আকবরেরও বিচার হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, আমার বিশ্বাস আকবর এখনো দেশের বাইরে যায়নি। কারণ সীমান্তগুলোকে আমরা সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক করে দিয়েছি। আকবর বিদেশে পালিয়ে গেলেও তাকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হবে।মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন খান, আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।
এর আগে মন্ত্রী মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে ঢাকা থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সযোগে ঝটিকা সফরে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। পরে সেখান থেকে সরাসরি আখালিয়া এলাকায় নিহত রায়হানের বাসায় যান।মন্ত্রী রায়হানের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে কিছু সময় সেখানে অবস্থান করেন। সেখান থেকে ফেরার পথে হযরত শাহজালাল (রহ.) এর দরগাহ গোরস্থানে সদ্য প্রয়াত সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক আজিজ আহমদ সেলিমের কবর জিয়ারত করেন তিনি।পরে বিকেল ৩টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।