ঐক্য ন্যাপের সভা: সংকট মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্যমত্য অপরিহার্য

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ডেস্ক
সত্যবাণী

 ঢাকা: দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতি, তেল গ্যাস বিদ্যুৎ এর মূল্যবৃদ্ধি, ও গনতন্ত্র রক্ষায় মৌলবাদ জঙ্গিবাদ সাম্প্রদায়িকতা লুটেরা পাচারকারী দের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যমত্য অপরিহার্য বলে মন্তব্য করা হয়েছে  ঐক্য ন্যাপের এক সভায়।

৪ নভেম্বর ২০২২ ঐক্য ন্যাপ সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবনে সংগঠনের সভাপতিমন্ডলীর এক সভার এক সিদ্ধান্তে এই মন্তব্য করা হয়। সভা সঞ্চালনা করেন ঐক্য ন্যাপ সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আসাদুল্লাহ তারেক।
উপস্থিত ছিলেন, ঐক্য ন্যাপ সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এ্যাডভোকেট এস এম এ সবুর, আব্দুল মুনায়েম নেহেরু, হারিস উদ্দিন, রঞ্জিত কুমার সাহা, নাসিরুল ইসলাম জুয়েল, অলিজা হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুনার রশিদ ভুঁইয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক নাসিরউদ্দিন বাদল প্রমুখ।

সভায় পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, নিত্য পন্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি ও বিদ্যুৎ সংকটে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের যখন দূর্বীসহ অবস্হায় আর্থ-সামাজিক-বৈশ্বিক-যুদ্ধজনিত সংকটে অসহায় দশা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথিত আগামীতে দুর্ভিক্ষ-শঙ্কা, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ উপদেষ্টার আগামীতে বিদ্যুতের লভ্যতা দিনে অপ্রাপ্তির আশঙ্কা, সর্বপরী বাজারে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের প্রায় অপ্রতিরোধ্য দাপট-অর্থ পাচার-কালো টাকা- ঋণখেলাপী, অর্থনীতিতে সংকট যখন ঘনীভূত তখন একান্ত প্রয়োজন রাজনৈতিক ঐক্যমত্য-পাল্টাপাল্টি হুমকী ধামকী নয়।
সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়,  পচাত্তর পরবর্তী নির্বাচনী ব্যবস্থাসহ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ভঙ্গুর করার পাশাপাশি সামরিক স্বৈরাচার ও পাকিস্তানী সাম্প্রদায়িকরণ প্রবর্তন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার কতৃক বঙ্গবন্ধু হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীর বিচারের মত প্রশংসনীয় কাজ সত্বেও আমলা-পুলিশ-ব্যবসায়ী নির্ভর রাষ্ট্রপরিচালনা, নির্বাচন কমিশনসহ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হবে, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হবে, কিছু কালাকানুন গণতন্ত্র সংকোচন ও বাক স্বাধীনতা খর্ব হবে, এমন আশঙ্কা জনগনের।
এহেন পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সারকারী দলের কোন প্রকার সময় ক্ষেপন করা দেশ ও জাতির জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে আমরা মনেকরি। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহল দ্রুত উদ্যোগী হবেন বলে আমাদের আশাবাদ।

You might also like