কমিউনিটি নেতা এলাইছ মিয়া মতিনের শেষ বিদায় মিল্টন কেনে দাফন সম্পন্ন
মতিয়ার চৌধুরী
সত্যবাণী
লন্ডনঃ ব্রিটেনে বাংলাদেশী কমিউনিটির সুপরিচিত মুখ বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব, প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, এলাইছ মিয়া মতিনকে শেষ বিদায় জানাতে ব্রিটেনের বিভিন্ন প্রান্থ থেকে অশ্রুসিক্ত নয়নে মিলটনকেইন শহরে তাঁর নামাজে জানাজায় উপস্থিত হয়েছিলেন বিভিন্ন শ্রেনী পেশার হাজারও মানুষ। এখানে উল্লেখ্য যে কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব এলাইছ মিয়া মতিন গেল ৭মার্চ ২০২৪ ঈসায়ী বৃহস্প্রতিবার, (২৪ফাল্গুন ১৪৩০বঙ্গাব্দ,২৬ শাবান১৪৪৫ হিজরী) লন্ডন সময় দুপুর এক ঘটিকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় অক্সফোর্ডের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না…লিল্লাহি…ওয়া..ইন্না.ইলাহি..রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুইপুত্র, ছয় কন্যা সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবত মিলটন কেইন শহরে বসবাস করে আসছেন, তিনিই মিলটনকেইন শহরের প্রথম বাংলাদেশী বাসিন্দা। তার গ্রামের বাড়ী বৃহত্তর সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার মীরপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী শ্রীরামসী গ্রামে।
কিশোর বয়সে পরিবারের সাথে ব্রিটেনে অভিবাসী হওয়ার পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রতিটি মিছিল মিটিংএ অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন। তিনি ছিলেন একজন প্রতিষ্টিত ব্যবসায়ী সেই সাথে একাধিক সামাজিক ,সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও কমিউনিটি সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ মিলটনকেইন শাখার সভাপতি, জগন্নাথপুর ব্রিটিশ বাংলা এডুকেশন ট্রাষ্টের ফাউন্ডার ট্রাষ্ট্রি, বাংলাদেশ ক্যাটারারর্স এ্যাসোসিয়েন (বিসিএ) এর মিডল্যান্ড শাখার সা্বেক সভাপতি, ব্রিটিশ বাংলাদেশ ক্যাটারারর্স এ্যাসোসিয়েশন (বিবিসিএ‘র) ফাউন্ডার ট্রাজারার, বাংলাদেশ ওয়েল ফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন, প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান দর্পন ম্যাগাজিন ও অনলাইন টিভি চ্যানেল দর্পন টিভি, বাংলাদেশ সেন্টার,সহ অসংখ্য সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ছিলেন একজন দাতা। দেশে-বিদেশে বহু মসজিদ মাদ্রসায় রয়েছে তার আর্থিক অনুদান। যে গোরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়েছে এই গোরস্থানটি কিনতেও তার আর্থিক অনুদান রয়েছে।
গেল ১১ মার্চ মোমবার দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে মিলটনকেইনের এম.কে.এস. এ. কলিহল টারবাইস গর্ডেন জামে মসজিদ এম.কে.৬. ৫এইচ.এ তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার নামাজে জানাজায় অন্যানের মধ্যে উপস্থত ছিলেন মিলটন কেইন আওয়ামীলগের নেতৃবৃন্দ, যুক্তরাজ্য বিএনপির উপদেষ্টা আব্দুল হামিদ চৌধুরী, ইউকে বাংলা রিপোটার্স ইউনিটির সদ্য সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক মতিয়ার চৌধুরী, জগন্নাথপুর ব্রিটিশ বাংলা এডুকেশন ট্রাষ্টের সাবেক সেক্রেটারী আঙ্গুর আলী,তার প্রতিষ্ঠিত সংগঠন বিবিসিএর ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট শাহানূর খান, বর্তমান প্রেসিডেন্ট মেয়র সেলিম চৌধুরী, সেক্রেটারী তফজ্জুল মিয়া, সাবেক প্রেসিডেন্ট কাউন্সিলার শামসুল ইসলাম সেলিম, ট্রেজারার এম.এ, মতিন ও অন্যান্যরা। এছাড়া তার আত্মীয়স্বজন সহ তার ঘনিষ্ট বন্ধু কাজি আছাবুর রহমান সহ বিভিন্ন সংগঠন ও কমিউনিটির সর্বস্থরের মানুষ। বিকেল তিনটায় তাঁকে মিলটনকেইনের সেলব্রন এভিনিউ মিমিট্রি বেক্সলী এম.কে.-৩ ৫বিএস্ক এ সমাহিত করা হয়।