কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা : খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ১৩ জুলাই
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ১৩ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য আসামি পক্ষের আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। পরে কেরানীগঞ্জ কারাগারের নবনির্মিত ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আকতারুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন।বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় আসামি ছিলেন ১৩ জন। এরমধ্যে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। অন্য আসামি সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার আমিনুল হক মারা যান।
বর্তমানে খালেদা জিয়া ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজসম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রো বাংলার সাবেক পরিচালক মুঈনুল আহসান এবং সাবেক জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন।২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা করে।
শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুদকের তৎকালীন সহকারি পরিচালক মো. সামছুল আলম। একই বছরের ৫ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আসামিরা বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির এ চুক্তিটি অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন করেছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।