কর্মবিরতিতে মৌলভাবাজারের মাথিউরা চা বাগানের শ্রমিকরা
সিলেট অফিস
সত্যবাণী
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার মাথিউরা চা বাগানে শ্রমিকদের নিয়মিত মজুরী ও বোনাস প্রদানের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছে। ২০ মার্চ বুধবার সকাল থেকে বাগানের ব্যবস্থাপকের বাংলোর সামনে প্রায় ৬০০ শ্রমিক কাজে না গিয়ে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করে। ২১ মার্চ বৃহস্পতিবারের মধ্যে মজুরী ও বোনাস না দিলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেবে বলে তারা ঘোষণা দিয়েছে।
রাজনগর থেকে সংবাদদাতা জানান, রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের মাথিউরা চা বাগানে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৭০০ শ্রমিক রয়েছে। সাপ্তাহিক হাজিরা (বেতন) প্রতি বৃহস্পতিবারে দেয়ার নিয়ম থাকলেও বিগত ৩ মাস থেকে বাগানের শ্রমিকরা নিয়মিত বেতন পাচ্ছে না। বৃহস্পতিবারের মজুরী কখনো রবিবার বা সোমবার আবার কখনো মঙ্গলবার পর্যন্ত গড়িয়ে নেয়া হচ্ছে। শ্রমিকদের পক্ষ থেকে এনিয়ে যোগাযোগ করা হলে কর্তৃপক্ষ সময়মতো মজুরী দিতে না পারার বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরছেন।
এছাড়াও বাগানে প্রতিবছর দুর্গাপূজা ও দোলপূজার ১ সপ্তাহ আগে বোনাস দেয়া হয়। কিন্তু আগামী রোববারে দোলপূজা থাকলেও এখন পর্যন্ত বোনাস পায়নি শ্রমিকরা। এসব কারণে বুধবার সকাল থেকে চা বাগানের ব্যবস্থাপকের বাংলোর সামনে জড়ো হয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল ও ২ ঘন্টার কর্মবিরতি পালন করে।
বিক্ষোভ শেষে বক্তব্য রাখেন বাগানের ইউপি সদস্য সত্য নারায়ন নাইডু, পঞ্চায়েত সভাপতি সুগ্রিম গৌড়, বাবুলাল গৌড়, নবমী রাজভর, শ্রীকুমারী রবিদাস প্রমুখ।
পঞ্চায়েত সভাপতি সুগ্রিম গৌড় বলেন, বিগত ৩ মাস থেকে আমরা নিয়মিত মজুরী পাচ্ছি না। প্রতি বৃহস্পতিবারে মজুরী দেয়ার নিয়ম থাকলেও তা পরের সপ্তাহে গড়িয়ে নেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তারা বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। নিয়মিত মজুরী না পেলে আমরা সংসার নিয়ে চলবো কীভাবে?
এ ব্যাপারে জানতে মাথিউরা চা বাগানের ম্যানেজার ওয়াহিদুজ্জামানের মোবাইল ফোনে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
বাগানের সহকারী ম্যানেজার সাইদ চৌধুরী বলেন, বিগত কয়েকদিন থেকে কোম্পানি বিরাট আর্থিক লোকসান দিচ্ছে। অর্থ সংকটের কারণে আমরা অফিস স্টাফরাও ৪ মাসের বেতন পাচ্ছি না। তবে, শ্রমিকদের বেতন নিয়মিত দেয়া হচ্ছে। হয়তো ২/১দিন দেরি হচ্ছে। অর্থসংকটের কারণে বোনাসও সময়মতো দেয়া যাচ্ছে না। আশা করছি শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে।