কাউন্সিলরের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িতরা ছাড় পাবেন না : কাদের
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘পৌর নির্বাচনের পর কাউন্সিলর তরিকুল ইসলামকে (৪৫) হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে। অপরাধীদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।’সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে চার দিনব্যাপী অগ্নিনিরাপত্তাবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।কাউন্সিলর হত্যার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে পরবর্তী ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে সংঘাত ও হানাহানি এড়াতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহকে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দেন সেতুমন্ত্রী। নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পৌর নির্বাচনের পর কাউন্সিলর তরিকুল ইসলামকে (৪৫) হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে। অপরাধীদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।’ তিনি বলেন, ‘মানুষ উন্নয়ন চায় বলেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিপুল ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছে। বিএনপি প্রার্থীরা যেখানে সক্রিয় ও জনপ্রিয় ছিল সেখানে তারা বিজয়ী হয়েছে। এমনকি তাঁদের দুইজন বিদ্রোহী প্রার্থীও বিজয়ী হয়েছে। এখন কোনো দোষ খুঁজে না পেয়ে ভোটের ব্যবধান বেশি বলছেন তাঁরা।ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, জনগণের কাছে বিএনপি কী বলে ভোট চাইবে, তাদের তো বলার কিছু নেই। আগুন সন্ত্রাস আর মানুষ পুড়িয়ে মারা এবং দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়া তাদের জনগণের কাছে আর কী বা বলার আছে? ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে প্রচার না চালিয়ে বিএনপি ভোটারদের আস্থা হারিয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয় উন্নয়নের বিজয়। বিপুল ভোটের ব্যবধান বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতিকে জনগণের প্রত্যাখ্যান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অর্জনের কারণেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বেশি ভোটে জয়ী হয়েছে। এটাই স্বাভাবিক। তিনি বলেন, ‘পৌর নির্বাচনের এ বিজয় উগ্র সাম্প্রদায়িকতা তোষণ-পোষণের বিরুদ্ধে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ ব্যবধান এবং বিজয় থেকে বিএনপি ভবিষ্যতে শিক্ষা নেবে।ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নিজেরা প্রশিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি কর্মপরিবেশে অগ্নিনিরাপত্তা প্রতিরোধ ব্যবস্থা, উদ্ধার তৎপরতা, নিজের সুরক্ষা, প্রাথমিক চিকিৎসাসহ অন্য বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সফল হতে হবে। কর্মদক্ষতার পাশাপাশি জীবনদক্ষতাও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। ফায়ার সেফটিসহ অন্য বিষয়ে দক্ষতা অর্জন জীবন দক্ষতার জন্য সহায়ক হবে।’