কারাগারে বসে ডাকাতির পরিকল্পনা মাধবপুরে সজলসহ শীর্ষ ৩ ডাকাত গ্রেফতার
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে রুসন আলীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের শীর্ষ ডাকাত সজল মিয়া(৩০) সহ ৩ ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। সোমবার ভোররাতে মধ্যবেজুড়া থেকে সজলকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও লুণ্ঠিত ৫৪ হাজার ৯ শ’ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।এরআগে রোববার ভোর রাতে আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের সদস্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের ভাদুঘর গ্রামের তকদির (৩৫) এবং একই গ্রামের হেলাল মিয়া (৪০) কে গ্রেফতার করে। রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মাধবপুর থেকে সংবাদদাতা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, ও হবিগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চলের চিহ্নিত ডাকাত দলকে পুলিশ গ্রেফতার করে বিভিন্ন মামলায় হবিগঞ্জ জেলহাজতে পাঠায়। এসব অঞ্চলের ডাকাতরা হবিগঞ্জ কারাগারে একত্রিত হয়ে পরিকল্পনা করে জামিনে বের হয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে ডাকাতির ঘটনা ঘটায়। পরিকল্পনামতো ডাকাতদল জামিনে মুক্ত হয়ে কিছুদিন আগে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কে, হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার কামাইছড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদুঘর ও একই জেলার নাসিরনগর উপজেলা এবং মাধবপুর উপজেলার রসুলপুরে ডাকাতি সংঘটিত করে। গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জেলে বসে ডাকাতির পরিকল্পনার কথা জানা গেছে। একযোগে হঠাৎ করে ৩ জেলায় ডাকাতি শুরু হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হয়।মাধবপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, রসুলপুর গ্রামে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করে। আর দেশীয় অস্ত্র ও লুণ্ঠিত টাকা উদ্ধার এবং ডাকাতির ক্লু উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। গ্রেফতার ডাকাতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হবিগঞ্জ বিচারিক আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে এবং ডাকাত দলের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।