কুলাউড়ায় ব্যবসায়ীকে পুলিশী হয়রানির অভিযোগ
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ব্যবসায়িক বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ইন্ধনে এক নিরীহ ব্যবসায়ীকে পুলিশ দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই নিরীহ ব্যবসায়ীর ১টি মোটর সাইকেল ও ১টি পাওয়ার টিলার বাড়ি থেকে জোরপূর্বক থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।কুলাউড়া থেকে সংবাদদাতা জানান, ৪ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে কুলাউড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে আলমগীর জানান, তিনি ব্রাহ্মণবাজার সংলগ্ন হিংগাজিয়া বাজারের একজন ফার্নিচার ব্যবসায়ী। এর পাশাপাশি তিনি মাছের খামার, কৃষিকাজ ও ইট-বালু পরিবহনে নিয়োজিত ট্রলি গাড়ির ব্যবসাও করে থাকেন। ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় একই এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের পুত্র বদরুল হোসেন অপু, মনু মিয়ার পুত্র মানিক মিয়া ও আনার মিয়ার পুত্র জুয়েল মিয়া আমাকে ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিসাধনের জন্য নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে। তাদের উদ্দেশ্য হলো তাদের ভয়ে আমি যেন ব্যবসা ছেড়ে দেই। গত ১ মাস পূর্বে হিংগাজিয়া বাজার থেকে মানিক মিয়ার একটি মোটর সাইকেল চুরি হয়। আর সেই ঘটনায় তারা ৩ জন আমাকে চুরির মামলায় জড়াতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। কিন্তু কোনভাবেই আমাকে জড়াতে না পেরে আমার ট্রলির ড্রাইভার নিরীহ রুবেল মিয়াকে চোর বানিয়ে পুলিশের কাছে তুলে দেয়।একপর্যায়ে জানতে পারি রুবেলকে মারধোর করে মোটরসাইকেল চুরির সাথে আমি জড়িত রয়েছি বলে স্বীকারোক্তি নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু এতে ব্যর্থ হয়ে আমার ড্রাইভারকে ৫৪ ধারায় কোর্টে পাঠায় পুলিশ। তারা ব্যর্থ হয়ে কুলাউড়া থানার এসআই নৃপেশ দেবকে দিয়ে গত ১১ জুন আমার বাড়িতে জোরপূূর্বক ঢুকে আমার মোটর সাইকেলের তালা ভেংগে এবং বাজারে থাকা ট্রলি গাড়ি থানায় নিয়ে যায়। আলমগীর অভিযোগ করে আরও বলেন, আদালতে মালামাল ক্রোকের নির্দেশনা ছাড়া পুলিশ আমার মোটর সাইকেল ও ট্রলি গাড়িটি কিভাবে নিয়ে আসলো তা আমার বোধগম্য নয়।
এদিকে, গত ২১ জুন ৩ বখাটের বিচার ও পুলিশ কর্তৃক থানায় নেয়া আমার মোটর সাইকেল ও ট্রলি ফেরৎ পাওয়ার জন্য একটি আবেদন নিয়ে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের কাছে ভুক্তভোগী আলমগীর সরাসরি দেখা করেন। তখন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার ভুক্তভোগী আলমগীর ও তার স্ত্রী ও ছোট ২ ছেলের কাছ থেকে বিস্তারিত ঘটনা শুনেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ^াস দেন। কিন্তু মোটরসাইকেল ও ট্রলি নেয়ার ২৪ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও তা পুলিশ ফেরত দেয়নি বলে জানান আলমগীর।এ ব্যাপারে এসআই নৃপেশ দেব জানান, আলমগীরের বিরুদ্ধে একাধিক চুরির মামলা রয়েছে। সেসব কুকর্ম থেকে বাঁচতে সে কৌশল হিসাবে পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। তবে আদালতের নির্দেশ ছাড়া ভুক্তভোগীর মোটর সাইকেল ও ট্রলি আনা ঠিক হয়েছে কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) রতন চন্দ্র দেবনাথ জানান, বিষয়টির ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।