কুশিয়ারা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী

সত্যবাণী
সিলেট অফিসঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা কুশিয়ারা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষায় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ১৬ অক্টোবর সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নদীভাঙন প্রতিরোধে নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা জানান, জগন্নাথপুরের ইউএনও সাজেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ সম্মেলনকক্ষে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ আ’লীগ নেতা সিদ্দিক আহমেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সামসুদ্দোহা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসান গাজী প্রমুখ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি, রানীগঞ্জ, পাইলগাঁও ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম ও হাট-বাজার কুশিয়ারা নদীভাঙনের কবলে পড়ে দীর্ঘদিন ধরে বিলীন হচ্ছে। এলাকাবাসী নদীভাঙন থেকে রক্ষায় নদীর তীর সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। ইতোমধ্যে নদী ভাঙনে ফেছিরবাজার, রানীগঞ্জ বাজার, শিবগঞ্জ বাজার নদীভাঙনের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০১৬ সালে তৎকালীন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী, বর্তমান পরিকল্পনামন্ত্রী, পানিসম্পদ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী সরেজমিনে এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন। পরে স্থানীয় এমপি, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের প্রচেষ্টায় ৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। প্রকল্পে কুশিয়ারা নদীর ডানতীরে অবস্থিত বাগময়না এলাকার নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ৮৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ৪৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা ও ভাঙাবাড়ি ও ফেছিরবাজার এলাকায় ৯৮০ মিটার দৈর্ঘ্যে ৪৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
উপজেলার আশারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব খান বলেন, এ দু’টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে কুশিয়ারা নদীর ভাঙন থেকে আশারকান্দি ইউনিয়নের কমপক্ষে ১৫টি গ্রাম রক্ষা পাবে। আমরা দীর্ঘদিন থেকে নদীভাঙনের শিকার হয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছি।
রানীগঞ্জ  ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ছদরুল ইসলাম বলেন, কুশিয়ারা নদীর ভাঙনে রানীগঞ্জ বাজার ও আশপাশ গ্রামের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রাচীন নৌ-বন্দর হিসেবে পরিচিত রানীগঞ্জ বাজার রক্ষা পাবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, কুশিয়ারা নদীর ভাঙন থেকে জগন্নাথপুর উপজেলাকে রক্ষার লক্ষ্যে নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্প গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের প্রতি আমরা খুশি ও কৃতজ্ঞ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সামসুদৌহা বলেন, কুশিয়ারা নদী ভাঙনরোধে ইতোমধ্যে দরপত্র প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। আগামী বছরের জুনের মধ্যে কাজ শেষ হবে।

You might also like