কেন্দ্রিয় যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সম্পাদকের সহযোগিতায় শাল্লায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী

সুনামগঞ্জ থেকেঃ বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রিয় চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারন সম্পাদক মইনুদ্দিন খান নিখিলের সহযোগিতায় সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ সংখ্যালঘু শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপলের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জামান সেন্টুর নেতৃত্বে জেলা যুবলীগের একটি প্রতিনিধি দল ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামে গিয়ে অসহায় মানুষজনের মধ্যে তা বিতরণ করেন।

এ সময় প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য সবুজ কান্তি দাস,সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও জেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য নুরুল ইসলাম বজলু,দিরাই উপজেলা যুবলেিগর সবাপতি বাবু রঞ্জন রায়,শাল্লা যুবলীগ নেতা ফেনি ভূষন দাস,জেলা যুবলীগ নেতা এড. দিপু রঞ্জন দাস প্রমুখ। এ সময় প্রতিনিধি দলের নেতৃবৃন্দরা ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিটি পরিবারের হাতে কেজি চাল,২ কেজি ডাল,২কেজি সয়াবিন তৈল,২কেজি আলু,২কেজি পিয়াজ,১কেজি লবন বিতরণ করেন।

উল্লেখ্য, গত (১৫ মাচর্) সোমবার হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা সদরে শানে রিসালাত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। (১৬মাচর্) মঙ্গলবার রাতে শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের গোপেন্দ্র দাসের ছেলে ঝুমন দাস আপনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে মামুনুল হককে নিয়ে দেওয়া একটি আপত্তিকর পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে ঝুমন দাসকে আটকের জন্য প্রতিবাদ মিছিল করলে ঝুমন দাসকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন এলাকাবাসী।এর পরদিন বুধবার (১৭ মার্চ) সকালে নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু লোকজনের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৩০-৩৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় ৩০ঘন্টা পর (১৮মার্চ) বৃহস্পতিবার শাল্লা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি ও গ্রামের বাসিন্দা হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ বকুল বাদী হয়ে আরও একটি মামলা দায়ের করেন। এঘটনায় প্রধান আসামীসহ মোট ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

You might also like