ক্লিন সিলেট গঠনে নির্দেশনা দিয়ে মাইকিং করেছে সিসিক কর্তৃপক্ষ
সত্যবাণী
সিলেট অফিসঃ সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নির্বাচনী শ্লোগান ছিলো ‘‘গ্রিন-ক্লিন-স্মার্ট’ সিলেট’ গড়ে তোলা। এ প্রতিশ্রুতি পূরণে নানা পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছেন তিনি।
এবার ময়লা-আবর্জনামুক্ত ক্লিন বা পরিচ্ছন্ন সিলেট গড়তে নগরবাসীর প্রতি ‘কঠোর’ বার্তা দিচ্ছে সিসিক কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে নগরজুড়ে মাইকিং করা হচ্ছে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে নগরির বিভিন্ন স্থানে মাইকিং শুরু হয়।
সিসিকের পক্ষ থেকে দেয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নগরির ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ময়লা-আবর্জনা রাত ১০টার মধ্যে নিকটস্থ ডাস্টবিন বা নির্ধারিত স্থানে রাখতে হবে। কোনো অবস্থাতেই বর্জ্য বাইরে ফেলা যাবে না।
ঘোষণায় আরও বলা হয়-নির্দেশনা না মানলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা অনুযায়ী আইন অমান্যকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ২ বছরের কারাদণ্ড বা ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে।
এছাড়া সিসিকের অনুমতি ছাড়া দেয়াল লিখন বা বিদ্যুতের খুঁটিতে পোস্টারিং করা যাবে না। যাবে না যত্রতত্র ব্যানার-ফেস্টুন টানানো। তবে প্রয়োজনে সিসিকের অনুমতি নিয়ে যথাযথ নিয়ম মেনে বিজ্ঞাপন দেয়া যাবে। বিনা অনুমতিতে বিজ্ঞাপন দিলে দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সিসিক।
সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নির্বাচনের আগে তাঁর ইশতেহারে বলেছিলেন-‘আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা আমার লক্ষ্য। নগর পরিচ্ছন্ন রাখতে ও আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও দাতাদের সহায়তা নেয়া হবে। ময়লা-আবর্জনা ও দুর্গন্ধ থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে পর্যায়ক্রমে সড়ক থেকে ময়লার ভাগাড়গুলো (ডাস্টবিন) সরিয়ে নেয়া হবে। এর পরিবর্তে এলাকাভিত্তিক ময়লা সংরক্ষণ (ডাম্প) কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নগরির প্রতি এলাকায় ৪/৫টি দোকান মিলিয়ে একটি করে ডাস্টবিন দেয়া হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য। এটি চলমান রয়েছে। পাশপাশি এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মাইকিং করা হচ্ছে। সব এলাকায় এভাবে ডাস্টবিন দেয়ার পর নির্দেশ অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।