খালেদা জিয়ার মধ্যে মানবিকতার কোনো চিহ্ন নেই : হানিফ
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মধ্য মানবিকতার কোনো চিহ্ন নেই। তিনি বলেন, ‘সাজাপ্রাপ্ত একজন আসামির আইনের মাধ্যমে বাইরে আসার কোনো সুযোগ নেই। মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দন্ড স্থগিত করে তাকে বাসায় থাকার ও স্বাধীনভাবে চিকিৎসা করার সুযোগ দিয়েছেন।এই খালেদা জিয়াই গ্রেনেড হামলা করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। বেগম জিয়ার মধ্যে মানবিকতার কোনো চিহ্নও তখন ছিল না।’
হানিফ আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘আগামীর বাংলাদেশ : আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। যৌথভাবে গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে বিবার্তা২৪ডটনেট ও জাগরণ (আইপি) টিভি।মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, মানবতার কারণে দন্ড স্থগিত রেখে বেগম খালেদা জিয়াকে বাসায় চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিলেন। জাতির পিতার মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে মিথ্যা জন্মদিন পালন করে প্রতিহিংসা দেখিয়েছেন। শিক্ষা না থাকলে মানবিকতা থাকে না। খালেদা জিয়ার মাঝে যে শিক্ষার আলো নেই তা তিনি বারবার প্রমাণ করেছেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার আলো মানুষের মধ্যে মানবিকতা তৈরি করে। বেগম খালেদা জিয়া এতটাই নিষ্ঠুর ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলার পর পার্লামেন্টে রসিকতা করে তিনি বলেছিলেন, শেখ হাসিনাকে কে মারতে যাবে ? উনি নিজেই ভ্যানিটি ব্যাগে করে এই গ্রেনেড নিয়ে গেছেন। এত নিষ্ঠুর ছিলো তার রসিকতা। তারপরও জননেত্রী শেখ হাসিনা মানবতা দেখিয়েছেন। কারণ তার মাঝে শিক্ষার আলো আছে। বিবার্তা২৪ডটনেট সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন হাসী’র সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় কি-নোট উপস্থাপন করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহম্মদ হুমায়ুন কবির। এছাড়া আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. তানিয়া হক।