খালেদার খনি দুর্নীতি মামলায় চার্জ শুনানি ৬ মার্চ

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় চার্জ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ৬ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক এ এস এম রুহুল ইমরান শুনানির এদিন ধার্য করেন। বৃহস্পতিবার মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার প্রধান আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় শুনানি পেছানোর আবেদন করেন তার আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার। শুনানি শেষে আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির নতুন এদিন ধার্য করেন।

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কয়লা উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি করা হয়। ওই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।এরপর ২০০৮ সাল থেকে দীর্ঘ ৯ বছর উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলাটির বিচারকাজ স্থগিত ছিল। সবশেষ ২০১৭ সালের ২৮ মে সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়। এরপর থেকে মামলাটি অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য রয়েছে।চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, এম কে আনোয়ার, এম শামসুল ইসলাম, ব্যারিস্টার আমিনুল হক ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন মারা গেছেন। আর যুদ্ধাপরাধ মামলায় জামায়াতের দুই শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।

তাদের বাদ দিয়ে এখন বাকি আসামিদের বিচার চলছে। খালেদা জিয়া ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- জোট সরকারের সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী ও সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছর দণ্ডিত হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারগারে যান। কারা হেফাজতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় সরকারের নির্বাহী আদেশে স্থগিত করে গত বছর মুক্তি দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

You might also like