খুনি রাশেদকে ফেরাতে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করবে বাংলাদেশ
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত আনার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে আলোচনা করবে বাংলাদেশ। প্রায় ২৫ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে থাকা ওই খুনিকে যাতে দ্রুত ফিরিয়ে আনা যায় এবং তার বিরুদ্ধে যে আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে সেটি যেন তাড়াতাড়ি শেষ হয়, সেই অনুরোধ করবে সরকার।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত আনার বিষয়ে নতুন মার্কিন প্রশাসনকে আমরা বলবো।’যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রশাসন ক্ষমতায় আসার ফলে ফেরত আনার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরাও পরিবর্তন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করবো এর ফলে আইনি প্রক্রিয়ায় কোনও প্রভাব পড়বে না।ট্রাম্প প্রশাসনের অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার রাশেদ চৌধুরীর রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন পুনর্বিবেচনার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তার সেই উদ্যোগ এখনও বলবৎ আছে বলে পররাষ্ট্র সচিব জানান।মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘নতুন অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে এ বিষয়টি আমরা তুলবো এবং যাতে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি হয় সেটির জন্য অনুরোধ জানাবো।’
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর মোট পাঁচ জন খুনি বিদেশে পালিয়ে আছে এবং এরমধ্যে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে ও নুর চৌধুরী কানাডায় পালিয়ে আছে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যায় রাশেদ চৌধুরী। পরবর্তীতে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করলে ২০০৪ সালে অভিবাসন বিচারক আবেদন মঞ্জুর করেন। ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি আপিল করে। ২০০৬ সালে ওই আপিল খারিজ হয়ে যায়।২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসার পরে রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে। ২০১৬ পর্যন্ত ডেমোক্র্যাটিক সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এই আলোচনায় কোনও অগ্রগতি হয়নি। ২০১৭ সালে ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতা গ্রহণের পরে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত আনার বিষয়টি একাধিকবার বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করা হয়। ২০২০-এর জুনে তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য নোটিশ প্রদান করেন।