গাড়িচাপায় নারী কাউন্সিলরকে হত্যাচেষ্টাঃ পৌর মেয়র মুহিবের বিরুদ্ধে মামলা
সিলেট অফিস
সত্যবাণী
সিলেটের বিশ্বনাথ পৌর মেয়রের গাড়িচাপায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে মেয়র মুহিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নামে থানায় মামলা করেছেন এক নারী কাউন্সিলর।
বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা জানান, ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গাড়িচাপায় নারী কাউন্সিলর রাসনা বেগমকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় মেয়র ও ২ কাউন্সিলরসহ ১০ জনকে আসামি করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ভিকটিম কাউন্সিলর রাসনা বেগম বাদী হয়ে এ অভিযোগ দায়ের করেন। অবশ্য পরে তিনি রাতেই আবার ওই অভিযোগ পাল্টিয়ে মেয়র ও কাউন্সিলরসহ ৮জনকে আসামি করে পূর্ণাঙ্গ অভিযোগ দেন। ২৪ এপ্রিল বুধবার সকালে এই অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে রেকর্ড করেন ওসি রমা প্রসাদ চক্রবর্তী। (মামলা নং-৫)।
মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি রাখা হয়েছে আরও ৪/৫জন। মামলায় অন্য আসামিরা হচ্ছেন কাউন্সিলর ফজর আলী, কাউন্সিলর বারাম উদ্দিন, পৌর পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পৌর উদ্যোক্তা সুরমান আলী, দক্ষিণ মীরেরচর গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে সিতাব আলী, রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত তবারক আলীর ছেলে আনোয়ার আলী, রহমাননগর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে মেয়রের গাড়ি চালক হেলাল মিয়া ও জানাইয়া গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে আব্দুস শহীদ।
তবে এ মামলায় পুলিশ এখনও কোনো আসামিকে গ্রেফতার করেনি। অপরদিকে কাউন্সিলর রাসনা বেগম আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরে সরকারি বরাদ্দের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নিয়ে মেয়র মুহিবুর রহমান ও ৭ কাউন্সিলরের মধ্যে চলছে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি। উভয়পক্ষই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করছেন বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের তথ্য। সম্প্রতি মেয়র মুহিবুর রহমানের দুর্নীতি ও অপকর্মের অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে পৌরসভার ২ প্যানেল মেয়র’সহ ৭জন কাউন্সিলর একত্রিত হয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন।
এতোদিন তারা নিজেদের মধ্যে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ করে আসলেও গত দু’’দিন থেকে তাদের এই দ্বন্দ্ব সংঘর্ষে গড়িয়েছে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফলে অজানা আতঙ্কে রয়েছেন পৌরবাসী। তবে সকল প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র মুহিবুর রহমানের মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।