গোলাপগঞ্জের মন্দিরে ২৪ নারী চোরসহ গ্রেফতার ২৭
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা থেকে চোরচক্রের ২৭ জন সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় চোরদের কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কার সাদৃশ জুয়েলারি, নগদ টাকা এবং হিন্দু নারীদের ব্যবহৃত হাতের শাঁখা উদ্ধার করা হয়। পূণ্যার্থীর ছদ্মবেশে মন্দিরে হানা দেয়া আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ চোরচক্রের ২৭ জন সক্রিয় সদস্যকে আলামতসহ আটক করেছে পুলিশ। ২ এপ্রিল রোববার তাদের আটক করা হয়। ৩ এপ্রিল সোমবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে গোলাপগঞ্জ থানার পুলিশ।পুলিশের সংবাদ সম্মেলন থেকে পাওয়া তথ্যে গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানান, উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের মিশ্রপাড়া গ্রামে অবস্থিত শ্রীশ্রী চৈতন্য দেব মহাপ্রভুর মন্দিরে অনুষ্ঠিত বার্ষিক কীর্তন উপলক্ষে আয়োজিত মেলা থেকে একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্রের সক্রিয় ২৭ জনকে আটক করে গোলাপগঞ্জ থানার পুলিশ। এ সময় তাদের নিকট থেকে উদ্ধার হওয়া আলামতের মধ্যে স্বর্ণসাদৃশ গলার চেন ৯টি, হাতের বালা ১ জোড়া, হাতের চুড়ি ৪ জোড়া, কানের দুল ১৪ জোড়া, রূপা সাদৃশ গলার চেন ৮টি, নুপুর ৮টি, হিন্দু নারীদের ব্যবহৃত হাতের শাঁখা ৬টি, পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত নোহা মাইক্রোবাস ১টি এবং ৫টি বাটন ও ২টি এ্যান্ড্রোয়েড মোবাইল ফোন ৭টি।
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা প্রত্যেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ধরম-ল গ্রামের বাসিন্দা এবং একটি আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ চোরচক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা পরস্পরের যোগসাজশে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের মিশ্রপাড়া গ্রামের শ্রীশ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর মন্দিরে অনুষ্ঠিত পূণ্যমেলায় চুরির উদ্দেশে আসে এবং কৌশলে নিজেরা ভিড় তৈরি করে পূণ্যার্থীদের স্বর্ণের চেন, কানের দুল, হাতের বালা, রূপার চেন, নুপুর ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়। মেলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত গোলাপগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনা আঁচ করতে পেরে চুরির অপরাধে জড়িত ২৪ জন নারী ও ৩ জন পুরুষকে আলামতসহ আটক করে।আটককৃতরা হলো নারজিন বেগম (৩০), নাজমা বেগম (৩২), রিমা আক্তার (২৮), মহিমা আক্তার (৩৫), পপি বেগম (৩০), আয়েশা বেগম (৩৫), সুমি বেগম (৩০), বিলকিস বেগম (২৮), সুফিয়া বেগম (২২), শাহিদা বেগম (২৮), লুৎফা বেগম (২৫), নাজমা বেগম (৩০), রোকসানা বেগম (২৫), সালমা বেগম (৩৫), তাছলিমা বেগম (৩৫), রোজিনা বেগম (৩০), লাভলী আক্তার (৩৫), আছমা বেগম (৩৮), পারভিন বেগম (৩০), তাছলিমা আক্তার (৩৫), অনু আক্তার (৩০), আমেনা বেগম (৩০), ফুলচান বিবি (২৮), আছমা বেগম (২৫), হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সুহেল মিয়া, শাহিন আলম (২০) ও সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ছাইদুল ইসলাম।আটককৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান।