চা দোকানীর কন্যা শিশুকে তুলে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জে সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামের মো. আব্দুর রহিমের ছেলে মো. আজাদ মিয়া(৩০) এর বিরুদ্ধে বেতগঞ্জ বাজারে এক চায়ের দোকানদারের ১৩ বছরের এক শিশু কন্যা সন্তানকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে আদালত প্রাঙ্গণে ফেলে অভিযোগ উঠেছে। গত ১ ফ্রেব্রুয়ারী সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় এক সিএনজি চালক ঐ শিশুটিকে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত প্রায় একমাস পূর্বে অভাব অনটনের সংসারে জীবন জীবিকার প্রয়োজনে সিলেটের বিশ^নাথ উপজেলার হান্দরচর গ্রামের ধর্ষিতার পিতা স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের বেতগঞ্জ বাজারে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে সামনে চায়ের দোকান খুলে এবং দোকানের পেছনে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে থাকার ব্যবস্থা করে কোনভাবে সংসার পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্তু পাশর্^বর্তী রহমতপুর গ্রামের বিবাহিত লম্পট মো. আজাদ মিয়া গত ৩১ জানুয়ারী রাত সাড়ে ৮টায় বেতগঞ্জ বাজারে শিশুটির পেছনের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে ঐ কন্যা শিশুটিকে তুলে নিজ বাড়িতে এনে একাধিকবার ধর্ষন করে এবং গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় শিশুটিকে আদালত প্রাঙ্গণে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়। শিশুর অনেক রক্তখরনের ফলে সে সংজ্ঞানহীন হয়ে পড়ে থাকে। হঠাৎ এক সিএনজি চালক এগিয়ে এসে সংঞ্জাহীন অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। সে এখন হাসপাতালের ৭তলার গাইনি বিভাগের ১৮নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. সৈকত দাস জানান, রাতে ঐ কন্যা শিশুটির অসহায় পিতা আরো কয়েকটি ছেলে তাকে নিয়ে হাসপাতালে আসার পর তাদের বক্তব্য শুনে হাসপাতালে ভর্তি করে পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয় এবং পরবর্তী চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য গাইনি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ খবর পেয়ে রাতেই শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে যান এবং অভিযোগ পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।