চামড়া শিল্পে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুদের নিয়োগ দিলে শ্রম আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ ঈদুল-উল-আযহার পর চামড়া পরিবহন,সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণে এমন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যেন শিশুদের নিয়োগ না করা হয় তা মনিটরিং করবে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। নিয়োগ দিলে শ্রম আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রথমবারের মতো কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে পত্র দেয়া হয়েছে।পত্রে বলা হয়েছে ঈদ-উল-আযহার পর কাঁচা চামড়া বহন,সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণের কাজে শিশুদের নিযুক্ত করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।চামড়া প্রক্রিয়াকরণে এসিডসহ অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার করার কারণে এবং চামড়া শিল্পের পরিবেশটি অস্বাস্থ্যকর ও দুর্গন্ধযুক্ত হওয়ায় তা শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকাতেও চামড়া শিল্পের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত আছে।আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ট্যানারি শিল্পসহ অন্য কোথাও চামড়া পরিবহন ও প্রক্রিয়াকরণের কাজে যেন শিশুদের নিযুক্ত করা না হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে অনুরোধ করা হলো।

এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম বলেন,মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।সরকার ২০১৩ সালে ট্যানারি ও চামড়াজাত শিল্পে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণসহ ৩৮টি কাজকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। শ্রম আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের আগে কোন শিশুকে কোন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ দেয়া যাবে না।কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায় জানান,ট্যানারি এবং চামড়াজাত শিল্পকে শতভাগ শিশু শ্রম মুক্ত করা হয়েছে।এটি অব্যাহত রাখার জন্য চামড়াজাত শিল্পে নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।তবে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ এবং প্রক্রিজাতকরণের মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুদের কেউ যাতে নিয়োগ না করে সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হচ্ছে এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পরিদর্শকগণ নিবিড় পরিদর্শনে থাকবেন মর্মে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে শ্রম আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

You might also like