চিকিৎসা-শিক্ষার জন্য সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে :অধ্যাপক টিটো
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা বলেছেন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশন, বিশ্ববিদ্যালয় সবাই মিলে যদি সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারি তাহলে আমাদের চিকিৎসা শিক্ষা পদ্ধতিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌছে দিতে পারব। ৩১ মে বুধবার সকালে নগরির একটি অভিজাত হোটেলের হলরুমে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত সিলেটের সকল মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ৩৫ জন শিক্ষককে নিয়ে শিক্ষাদান পদ্ধতি এবং মূল্যায়নের উপর দু’দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখছিলেন।সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশনের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সৈয়দা শাহীনা সোবহান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শিশির রঞ্জন চক্রবর্ত্তী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কাজী জানে আলম।
অধ্যাপক ডা. টিটো বলেন, গতানুগতিক মেডিকেল শিক্ষাপদ্ধতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে এবং বিশ্বের অত্যাধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতি চর্চার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। তবেই আমরা দক্ষ ও মানসম্মত চিকিৎসক তৈরি করতে পারব। আর এসব নতুন নতুন পদ্ধতিতে পাঠদানের জন্য আগে আমাদের নিজেদের অর্থাৎ শিক্ষকদের তৈরি হতে হবে। আমি মনে করি, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকরা শিক্ষাদান পদ্ধতি এবং মূল্যায়নের ক্ষেত্রে নিজেদের আরো সমৃদ্ধ করতে পারবেন।তিনি বলেন, সিলেটের আগে দেশে আরো কয়েকটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করলেও সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রথম শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষাদান পদ্ধতি এবং মূল্যায়নের উপর প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে। এজন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ধন্যবাদ জানান।উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন বলেন, আমাদের মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থা দিন দিন পরিবর্তন হচ্ছে। শিক্ষক হিসেবে আমাদের নিজে নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে হবে। সময়ের সাথে স্মার্ট হতে হবে এবং যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে অগ্রসর হতে হবে। আর আমার বিশ্বাস, এতে আমাদের সহায়ক হবে এই ধরণের প্রশিক্ষণ কর্মশালা।তিনি বলেন, আমি সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে যোগদানের পর সকল অধ্যক্ষদের নিয়ে প্রথম যে সভা করি সেই সভায় সকলেই এ ধরণের কর্মশালা আয়োজনের জন্য দাবি জানান। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা এই কর্মশালার আয়োজন করেছি। দু’দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা এখানেই শেষ নয়। এই কর্মশালায় যারা অংশ নিয়েছেন তাদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই আমরা আরেকটি কর্মশালার আয়োজন করব, যাতে আপনারা আপনাদের সাথে কর্মরত অন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেবেন। তবেই এই কর্মশালা স্বার্থক হবে।আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে রয়েছেন সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশনের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আবদাল মিয়া, সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবু সাঈদ তালুকদার এবং সহকারী অধ্যাপক ডা. নাসিম-ই-তাসনিম।