ছাতকে পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির কমিটি গঠনে অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে বিদেশি উন্নয়ন সংস্থা জাইকার উদ্যোগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ক্ষুদ্রাকার পানি সম্প্দ উন্নয়ন প্রকল্প ২য় পর্যায়ের আওতায় উপজেলার দোলার বাজার ইউনিয়নের জাহিদপুর জাহিরভাঙ্গা-বসন্তপুর বেড়িবাধ উপ-প্রকল্প বাস্তবায়নে পানি ব্যবস্থাপনা কার্যকরী কমিটি গঠন ও সমবায় সমিতি লিমিডেটের সদস্য অর্ন্তভুক্তিতে অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বজন প্রীতির অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, জাহিদপুর জাহিরভাঙ্গা-বসন্তপুর বেড়িবাধ উপ-প্রকল্পের এলাকাধীন গ্রাম গুলি হচ্ছে জাহিদপুর, তালুপাট, নরসিংহপুর, যোগলনগর, কচুরকান্দি, পূর্ব বসন্তপুর ও পশ্চিম বসন্তপুরের কৃষকদের কৃষি জমি বন্যা ও খরায় ফসল হানি হওয়ায় সরকার এ প্রকল্প গ্রহন করেছে। কিন্তু সরকারের কোটি টাকার প্রকল্পটিকে লুটেপুটে খেতে এলাকার প্রকৃতি উপকার ভোগিদের বাদ দিয়ে ২৪৫০টি পরিবারের প্রতিনিধি কমিটিতে না রেখে জাহিদপুর
গ্রামের কাচা মিয়ার ছেলে ইউপি সদস্য আবুল খয়ের তার সহযোগিদের নিয়ে নিজ পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের মধ্য থেকে ১৫ সদস্যের একটি উপ প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যকরী কমিটি গঠন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় ৮টি গ্রামের ২৪৫০টি পরিবারের ১৫২০০ উপকারভোগিদের বঞ্চিত রেখে নিজ পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে এবং আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে কমিটি গঠন করায় প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখার আগেই সমালোচিত হয়ে পড়ায় এলাকায় দাঙা হাঙামা সহ মারাত্মক দুর্ঘটনার আশংকা করছেন এলাকাবাসী। এ কমিটি বাতিল করে এলাকার উপকারভোগি সকল গ্রামের সদস্যদের নিয়ে একটি নতুন কমিটি গঠনের লক্ষে এলাকাবাসীর পক্ষে সংশ্লিষ্ট সকল কার্যালয়ে অনুলিপি দিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ছাদিকুর রহমান নামে একজন ব্যক্তি।এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আবুল খয়ের বলেন, উপকারভোগীদের মধ্যে ৯৫ ভাগ জাহিদপুর গ্রামের এবং ৫ ভাগ বসন্তপুর গ্রামের। প্রকল্পে বসন্তপুর নাম দেওয়ার কারনে তাদের সমস্যা হয়েছে। জাইকার প্রকল্প সোসালিষ্ট বেলাল আহমদ জানান, এলাকার লোকজন তালিকা তৈরি করে উপজেলা সমবায় কর্মকতার নিকট দিয়ে থাকেন। জেলা সমবায় কর্মকর্তা কমটি অনুমোদন করেন।
ছাতক উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ মতিউর রহমান বলেন, দুই বছর মেয়াদী ২০ সদস্য বিশিষ্ট কমটি রয়েছে। এই প্রকল্প এলাকায় যাদের কৃষি জমি রয়েছে ১৮ বছরের উর্দ্ধে এমন যে কেউ সমিতির নির্ধারিত ফি ৪শত টাকা দিয়ে সদস্য হতে পারবেন। তবে সে ক্ষেত্রে সমিতির সভাপতি বরাবর লিখিত আবেদন করতে হবে।উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবুল মনসুর মিয়া’র মুঠোফোনে যোগযোগ করা হলে তিনি ব্যাস্ত থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।