ছাতকে পিডিবির নিবার্হী প্রকৌশলী অবশেষে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগে বদলী

শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী

সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অভ্যন্তরে চরম অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, দায়িত্বহীনতা, কার্ড মিটার জালিয়াতি, ট্রান্সফর্মার বিকল, ঘুষ গ্রহণ ও সীমাহীন দূর্নীতি মিটার চুরি, নতুন লাইন সংস্কারে নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ১৪জনের মধ্যে নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন সরদার ও উপ সহকারি প্রকৌশলী আবুল হোসেনকে বদলী করা হলেও বাকী ১২ জন এখানে বহাল রয়েছেন।গত বুধবার বিকালে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে ছাতক বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে বিতর্কিত নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন সরদারকে ছাতক থেকে হবিগঞ্জ বদলী করা হয় বলে জানা গেছে।

তবে বদলীর আদেশকে স্থগিত করতে উচ্চ পর্যায়ে অপতৎপরতা চালাচ্ছেন বিতর্কিত নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন সরদার।জানা যায়, গত বছরে ২৯ আগষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দল্লøাহ আল মামুন সরদার সহ ১৪জনের বিরুদ্ধে ঘুষ কেলেংকারি তদন্ত শুরু হয়। সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বিতরন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নিবাহী প্রকৌশলী আব্দুল রাজ্জাকসহ ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। বিদ্যুৎ গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নের কোটি কোটি টাকার ঘুষ কেলেংকারির দুর্নীতি, মিটার চুরিরসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির রহস্য বেরিয়ে আসে তদন্ত টিমের কাছে । আরো জানা যায়, ২০১৮ সালে ৫ মে নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন সরদার ছাতকে যোগদানের পর থেকে সেবামূলক এ প্রতিষ্টানটি এখন ঘুষ-দূর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয় । প্রায় ৫ বছরে কোটি কোটি ঘুষ দূর্নীতি ও লুটপাট করার অভিযোগ উঠে। ছাতক শহরে শতাধিক ষ্টোন ক্রাসিং মিল, লাফার্জ-সুরমা সিমেন্ট লিঃ, ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরী লিঃ, নিটল পাল্প এন্ড পেপারমিল লিঃ, আকিজ বেভারেজ ফুড লিমিটেডসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা রয়েছে। বিশেষ করে ষ্টোন ক্রাসিং মিলে ট্রান্সফর্মার নষ্ট হলে এটি পরিবর্তনের নামে আদায় করা হয় দেড় থেকে দুই’লক্ষ টাকা। শহর এলাকায় আবাসিকও বানিজ্যিক গ্রাহকদের প্রতিবছর প্রায় অর্ধশতাধিক ট্রান্সফর্মার বিকল হলে পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে প্রতিটি ট্রান্সফর্মার বদলের নামে হাতিয়ে নেয়া হয় বছরে প্রায় তিন কোটি টাকা। সচল মিটারকে অচল দেখিয়ে ওই গ্রাহকের নামে ফিক্স বিল দেয়া শুরু করেন। প্রতি মাসে ১০লাখ টাকার ফিক্সড বিল দেয়ার পর মিটার পরিবর্তন করে বিভিন্ন গ্রাহকের বিল দেয়া পুরানো হাজার হাজার ইউনিটের টাকাগুলো তাদের পকেটে চলে যায়।

এদিকে ৩০ বছরের পুরানো ঝুুঁকিপুর্ন বিদুৎ লাইন উপজেলার, উত্তর খুরমা ইউপির আলমপুর, মানজিহারা গন্ধভপুর ভরাংপার, মামদপুরসহ অর্ধশতাধিক গ্রামে সংস্কার না করে যারা তাদের অলিখিত ঘুষ চুক্তি করে অঙ্গীকার করেছে তাদের কাজ রাতারাতি করেছে দুনীতিবাজরা।এ বিষয়ে সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বিতরন বিভাগের বিভাগীয় এক প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আব্দুল্লাহ আল মামুন সরর্দারকে ঘুষ-দূর্নীতির অভিযোগে ছাতক থেকে হবিগঞ্জ বদলী করেছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান। ছাতক বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন সরর্দার বদলীর এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

You might also like