ছাতকে বটেরখালের শাহানশাহ্ ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ছৈলা-আফজালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের স্থায়ী অফিস ভবনটি পরিত্যাক্ত রয়েছে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বন্ধ থাকায় ও অবহেলা অযতেœ অফিস ভবনটি ঝুপ ঝারে ভূতুরে ঘরে পরিনত হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে পরিষদের স্থায়ী ভবনে অফিস না করে তার গ্রাম সংলগ্ন লাকেশ্বর বাজারে অস্থায়ী অফিস করে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ১৯৮৮ সালে নতুন বাংলাবাজারে ইউনিয়ন পরিষদের অফিস ভবন নির্মাণ করা হয়। ১৯৯২ সালে আনুষ্টানিক ভাবে উদ্ভোদন করা হয়। সুরমা নদী (বটের খাল) এর তীরে গড়ে উঠেছে নতুন বাংলাবাজার। নৌ ও সড়ক পথে রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এখানে রয়েছে নতুন বাংলাবাজার পোষ্ট অফিস, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র, বাংলাবাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাংলাবাজার সামারুন নেছা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। ইউনিয়ন অফিস ভবন থাকলেও নেই কোন কার্যক্রম। যে কারনে নাগরিক সুবিদা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ইউনিয়নের বৃহৎ অংশের জনসাধারন।
আরো জানা যায়, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের অংশ হিসাবে সারা দেশের বিভিন্ন ইউনিয়নে নান্দনিক ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করছে। অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদের স্বেচ্ছাচারিতা ও ব্যক্তি স্বার্থে থমকে আছে ছৈলা-আফজালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের কমপ্লেক্স ভবন নির্মান কাজ। এতে স্থানীয় জনসাধারন সরকারী উন্নয়ন ও নাগরিগ সুবিদা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কিন্ত অনেকেই ভয়ে তার অনিয়ম-দূর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে নারাজ।
ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় নতুন বাংলাবাজার মেয়াদ উত্তীর্ণ পরিচালনা কমিটির কতৃক বাজারের একটি দোকান ভিটা বিক্রি ও বিভিন্ন খাতের আয় থেকে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের ঘটনায় তোলপাড় চলছে। ইউনিয়ন ভবন কমপ্লেক্স নির্মানের নামে ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ আড়াই লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ নতুন বাংলা বাজার পরিচালনা কমিটি কতৃক টাকা আত্মসাতের ঘটনায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ ইং তারিখে বানারশিপুর গ্রামের মৃত. হাছন আলীর ছেলে সাহিদ আলী এলাকাবাসীর পক্ষে ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এতে বড়ছাল গ্রামের মৃত. আব্দুস সহিদ (কাছা মিয়া)’র ছেলে সৈয়দ আহমদ সহ ৩ জনকে আসামী করা হয়। এ অভিযোগ দাখিলের পর সাহিদ আলীকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়। এমনকি প্রাণে মারার হুমকি প্রদান করে ত্মসাৎকারীরা। এ ঘটনায়ও গত ২৫ ফেব্রুয়ারী ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সাহিদ আলী।
অপরদিকে সম্প্রতি প্রকাশিত সরকারী ত্রাণের একটি তালিকায় ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ তার নিজের আত্মীয় স্বজন, শশুড়বাড়ীর লোকজনের নাম ও একই পরিবারে একাধিক নাম, আর্থিকভাবে স্বচ্ছলদের নাম তালিকায় করেছেন অভিযোগও রয়েছে। ফলে ত্রাণ তালিকা ও প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন অসহায় হতদরিদ্র মানুষ। ইউনিয়ন অফিস সুত্রে একটি ও ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ স্বাক্ষরিত সম্প্রতি অপর একটি তালিকায় দেখা যায়, তালিকায় থাকা ৩ নং ক্রমিকে ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট আত্মীয় মঈন উদ্দিন, ৫ নং ক্রমিকে বাবুল মিয়া, ৭ ও ৯ নং ক্রমিকে ফারুক মিয়া, নুর মিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের বাতিজা, ১৪ নং ক্রমিকে সেলিনা বেগম ইউপি চেয়ারম্যানের শালী, ২০নং ক্রমিকে আমিরুন নেছা (নিকট আত্মীয়), ৪৪ নং ক্রমিকে ফয়জুল হক ইউপি চেয়ারম্যানের শালার নাম তালিকায় তালিকায়। সরকারী ঘর নির্মান প্রকল্পের কাজেও স্বজন প্রীতির অভিযোগ রয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদের বিরুদ্ধেদ্ধে। গত বছর ইউপি চেয়ারম্যানে শালী বড়পলিরগাঁও গ্রামের সেলিনা বেগম, বাতিজা লাকেশ্বর পূর্বপাড়া গ্রামের নুর মিয়াকে পৃথক দুটি সরকারী ঘর স্বজন প্রীতির মাধ্যমে দেন ইউপি চেয়ারম্যান। সরকারী ৮ টি সোলার প্যানেল তার বাড়ীর রাস্থায় স্থাপন করা হয়েছে এমন অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
এছাড়াও গোবিন্দগঞ্জ-বসন্তপুর সড়কে মাটি উত্তোলন করে ফসলি জমির ক্ষতি করা হয়েছে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। সড়কের খাদ থেকে গভীর গর্ত করে মাটি তুলায় ফসলি জমির সীমানা (আইল) ভেঙে একদিকে ফসলি জমি কমছে অন্যদিকে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন কৃষক পরিবার। এমনকি বোরো ধান সংগ্রহে কৃষকদের জমাকৃত কৃষি কার্ড দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ ও তার ছেলে শামীম আহমদ জাল জালিয়াতির মাধ্যমে দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত ২০ মে ২০২০ ইং তারিখে ইউনিয়নের দিঘলি রামপুর গ্রামের মৃত. সাজিদুর রহমানের ছেলে মো. এখালাছুর রহমান ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ১০ জন কৃষক স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের অনুলিপি ছাতক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ছাতক উপজেলা কৃষি অফিসার বরাবর প্রেরন করা হয়।
এ বিষয়ে বানারশিপুর গ্রামের সাহিদ আলী বলেন, নতুন বাংলাবাজার মেয়াদ উত্তীর্ণ পরিচালনা কমিটির কতৃক প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের ঘটনায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক, ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ছাতক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ছাতক থানায় পৃথক ৫টি অভিযোগ দায়ের করেছি। তিনি আরো বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ পরিচালনা কমিটির লোকজন বলছেন, ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবন নির্মানের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে আড়াই লক্ষ টাকা দিয়েছেন। ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করবে সরকার। এখানে ইউপি চেয়ারম্যানকে ঘুষ দেতে হবে কেন।
কহল্লা গ্রামের নিশি কান্ত দেবনাথ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে একদিনের জন্যও ইউনিয়ন ভবন অফিসে আসেননি। তিনি লাকেশ্বর বাজার তার ব্যাক্তিগত অফিস করেছেন। আমাকে দেওয়া একটি শালিস নোটিশে লাকেশ্বর বাজার অস্থায়ী কার্যালয়ে যেতে লেখা হয়েছে। অনেকেই মুখ খুলে বলতে পারছেনা। সাধারন অসহায় মানুষ নিরবে কাঁদছে।
বানারশি গ্রামের গেদুনি বিবি বলেন, বাংলা বাজারে সরকার সব কিছু দিয়েছে। কিন্ত ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ সব কিছু লাকেশ্বর বাজার নিয়ে গেছেন। তার গ্রাম এলাকায় তিনি উন্নয়ন করছেন। আমরা এই এলাকার মানুষ বঞ্চিত হচ্ছি। এই এলাকার মানুষ লাকেশ্বর বাজার অস্থায়ী অফিসে গেলে তিনি অহংকার করেন। তিনি তার বাড়ির রাস্থা করছেন। কিন্ত বাংলা বাজারের রাস্থা ও স্কুলের উন্নয়ন তিনি কিছুই করছেন না। তিনি এই এলাকায় আসেন না। গেদুনি বিবি অরো বলেন, আমার স্বামী আতাউর রহমান ৮৫ বছর বয়স। মরার সময় চলে আসছে। কিন্ত বয়স্ক ভাঁতা পাননি। চেয়ারম্যানের অফিসে অনেক হেঁটেছি। কাগজ পত্র জমা দিয়েছি। কিন্ত তিনি আমাদের অবহেলা করলেন। আমাদের দাবী নতুন বাংলাবাজার ইউনিয়ন অফিস ভবনে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম শুরু হোক।
এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় গত সোমবার স্থানীয় লাকেশ্বর বাজারের নিশি কান্ত দেবনাথ এর ভাই নিরঞ্জন দেবনাথ শশির হোমিওপ্যাথিক ফার্মেসীতে হুমকি দমকি দিয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদের পেটুয়াবাহীনি। এমনকি জোরপূর্বক হোমিও চিকিৎসক নিরঞ্জন দেবনাথ শশির মাস্ক ও গ্লাবস বিহীন একটি ভিডিও চিত্র ধারন করে ফেইসবুকে পোষ্ট করে তারা।
ইউপি চেয়ারম্যানের অনিয়ম ও দূর্নীতি বিষয়ে তথ্য উপাথ্য সংগ্রহ করার পর গত ৫ জুন একাধিক ব্যাক্তি পৃথক পৃথক সময়ে পৃথক পৃথক মুঠোফোন নাম্বার থেকে এ প্রতিবেদকের ব্যবহৃত মুঠোফোন নাম্বারে কল করে ইউপি চেয়ারম্যানের আত্মীয় পরিচয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ জানায়। এমনকি তারা প্রতিবেদককে যেভাবে খুশি করতে হয় করবে বলেন। সন্ধ্যার পর একটি স্থানে গিয়ে তাদের সাথে দেখা করার অনুরোধ জানান। ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন এ প্রতিবেদককে ক্রয় করতে ব্যর্থ হন। আবারো তারা আনয় বিনয় করে শুধু দেখা করার অনুরোধ জানায়। কিন্ত তাদের দেওয়া স্থান ও সময় নিয়ে প্রতিবেদকের সন্দেহ হয়। এ প্রতিবেদককে কৌশলে ডেকে নিয়ে হত্যা করার পলিকল্পনা করা হয়েছিল। হত্যার পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যাওয়ায় আক্রোশ ও ক্রোধে ১১ জুন রাত ১১.৪৬ ঘটিকার সময় অপর একটি মুঠোফোন থেকে এ প্রতিবেদকের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হয়। তিনি ওয়াস রুম থেকে ফিরে কল ব্যাক করা মাত্র অপর পাশ থেকে কিছু বুঝে উঠার আগেই অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। ভাগ্য ভাল বেঁচে গেছিশ। এ বিষয়ে আর সাংবাদ প্রকাশ হলে এ প্রতিবেদককে দেখে নেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয় ।
উল্লেখ্য বিগত সময়ে ছৈলা-আফজালাবাদ ইউনিয়নে “গৃহ বন্ধি সংখ্যালঘু পরিবার” ও “ত্রানের তালিকায় নয়ছয়” শিরোনামে জাতীয় দৈনিক “ঢাকা প্রতিদিন” এ সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংখ্যালঘু পরিবারকে ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ কতৃক গৃহবন্ধি করার ঘটনার সংবাদ প্রকাশ করায় তার নির্দেশে তার ছেলে শামীম আহমদ কতৃক আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় এ প্রতিবেদক ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদকে প্রধান আসামী করে ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ ও তার ছেলে শামীম আহমদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ ও যতাযত তথ্য উপাথ্যের ভিত্তিতে অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ একটি অনলাইন টেলিভিশনে প্রচারের পর এ প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করে বিভিন্ন নামে বেনামে ভূয়া ফেইসবুক আইডি ও অনলাইন পোর্টাল অপপ্রচার শুরু করেছে ইউপি চেয়ারম্যানের লাটিয়াল বাহীনি। যা এ প্রতিবেদকের জন্য মানহানিকর বটে। একটি অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয় ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক নিজে তৈরি করা বিভিন্ন অনলাইন, ফেইক ফেইসবুকের পেইজ থেকে নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে তাকে হয়রানি ও মানহানি ঘটিয়ে যাচ্ছে। ফেইসবুক ও অনলাইন ব্যবহারকারীরা ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা হলেও শামীম আহমদ তালুকদার নামের একজন সাংবাদিক পরিচয়ে চেয়ারম্যানের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা চেয়েছিলেন। চাদা না দেয়ায় অপপ্রচারকারীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এসটিভি নিউজ বিডি, সংবাদ প্রতিক্ষণ ডট কম, এলওএন ডট টিভি, একাত্তরের হাতিয়ার নামের অনলাইন সহ বিভিন্ন অনলাইন ও পেইজে তার বিরুদ্ধে মানহানিকর অপপ্রচার চালাচ্ছে। অপপ্রচারকারী, ভুয়া ফেইসবুক আইডি ও অনুমোদন ছাড়া অনলাইন ওয়েব পেইজ ব্যাবহারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য ছাতক থানা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ করা হয়েছে সংবাদে উল্লেখ করা হয়।
এ প্রতিবেদক বলছেন, লিখিত অভিযোগ ও যতাযত তথ্য উপাথ্যে ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ করেছি। এলওএন ডট টিভি, একাত্তরের হাতিয়ার নামের অনলাইনে এ প্রতিবেদকে কোন সংশ্লিষ্টতা নেই বা তার কোন ভূয়া ফেইসবুক আইডি/পেইজ নেই। মুলত আমাকে টাকা দিয়ে ক্রয় করতে না পেরে তারা এ প্রতিবেদককে হত্যার পরিকল্পনা করে। এতেও ব্যর্থ হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ ও তার ছেলে শামীম আহমদের অনিয়ম ও দূনীতি আড়াল করতেই এ প্রতিবেদকের উপর চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ তুলা হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার অফিসার্স/ইনচার্জ ও এ প্রতিবেদকের বক্তব্য নেওয়া হয়নি। এতে সংবাদটি ভূয়া ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও মানহানিকর বলে বিবেচিত হয়েছে। এ প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে আনিত মিথ্যা মনগড়া কাল্পনিক অভিযোগ ও অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানা তিনি।নির্যাতিত ও উন্নয়ন বঞ্চিত সাধারন মানুষ প্রধান মন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর নিকট ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদের বিরুদ্ধে তদন্দ সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবী জানান।