ছাতকে ৩ পরিবারকে ‘পাঁচর বাদ’ নিয়ে ২ পঞ্চায়েতের সংঘর্ষঃ আহত অর্ধশত
সিলেট অফিস
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় ৩ পরিবারকে ‘পাঁচর বাদ দেয়া’ নিয়ে ২ পঞ্চায়েত গোষ্ঠীর সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে ১৫ রাউন্ড গুলি ছুঁড়তে হয়েছে। সাথে সাথে ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটকও করেছে পুলিশ। ১৪ এপ্রিল রোববার সকালে উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের খুরমা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনাটি ঘটে।
ছাতকের ইউএনও গোলাম মুস্তাফা মুন্না, ছাতক-দোয়ারাবাজার সার্কেলের এসএসপি রণজয় চন্দ্র মল্লিক, ছাতক থানার ওসি মো. শাহ আলম এবং ওসি (তদন্ত) সুহেল রানার যৌথ নেতৃত্বে একদল পুলিশের সহযোগিতায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সৃষ্ট বেপরোয়া সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা হলেন- খুরমা গ্রামের জোহান (২০), ফাহিম (২০), তারেক (২০), সালামত (৫০), নজমুল ইসলাম মিলাদ (৩৫), মুনতাহা (১৫), লিয়াকত আলী (৩০), ফরিদ মিয়া (৩০)সহ আরও ৪০-৫০ জন।
ছাতক থেকে সংবাদদাতা জানান, গত ২৫ রমজান আসরের নামাজের পর মহব্বতপুর গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে আফজল (২২) এর সাথে একই গ্রামের কুসুম আলীর ছেলে আলী আহম্মদ (৩৫) এর মধ্যে পূর্ববিরোধের জেরে তারাবির নামাজের পরে মহব্বতপুর মসজিদের সামনে মারপিটের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে আমজাদ আলী এ বিষয়ে খুরমা গ্রামের পঞ্চায়েতী মুরব্বি আব্দুল খালিককে (৪৫) জানালে মহব্বতপুর গ্রামের আবুল বশর ও আফরোজ আলীর পক্ষের লোকজনরা মিলে আমজদ আলী, ইয়াকুব আলী এবং তোরাব আলী এই ৩ পরিবারের লোকজনদের ‘পাঁচর বাদ’ অর্থাৎ একঘরে করে রাখার ঘোষণা দেন।
বিষয়টি গত শনিবার রাতে খুরমা গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুল খালিককে জানালে তিনি গ্রামের কয়েকজন মুরব্বিকে সাথে নিয়ে মহব্বতপুরে গিয়ে ওই গ্রামের পঞ্চায়েতের কাছ ৩ পরিবারকে একঘরে করে রাখার বিষয়টি জানতে চান। এ নিয়ে খুরমা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং মহব্বতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে মতবিরোধের সৃষ্টি হয়। এ বিরোধের জেরে মহব্বতপুর গ্রামের আবুল বশর মুন্না এবং আফরোজ আলী গ্রামের লোকজনদেরকে মসজিদের মাইকের মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে মানুষকে খুরমা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জড়ো করেন। পরে খুরমা এবং মহব্বতপুর গ্রামের আনুমানিক ৩০০-৪০০ লোক দেশীয় অস্ত্রসহ মারামারিতে লিপ্ত হন।
ছাতক থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ১৫ রাউন্ড শর্টগানের রাবার বুলেট ছুড়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’