ছাতকের গোবিন্দগঞ্জে যানজট নিরসন ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবীতে প্রতিবাদ সভা
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জে ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল বলেছেন, সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের সংস্কার কাজ চলমান।গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে গোলচত্ত্বর নির্মান কাজ চলছে।তাই এখানে যানজট লেগেই আছে। অনেক ক্ষেত্রে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন সাধারন মানুষ।সম্প্রতি একটি দূর্ঘটনায় বাহার উদ্দিন নামের এক ঠেলা চালক নিহত হন। কিন্ত গরীব অসহায় এ ঠেলা চালকের মৃত্যুর দায় কেউ নেয়নি। ঠিকাদরি প্রতিষ্টান শোক পর্যন্ত প্রকাশ করেনি।তিনি আরো বলেন, রেল লাইনের পশ্চিমে কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে।৫শ বর্গ ফুট রেলওয়ের ভূমি লীজ নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিশাল জায়গা দোকান কোঠা নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করছে গোঠি কয়েক লোকজন।
পয়েন্টের নিকটবর্তী গোবিন্দগঞ্জ-বিনন্দপুর সড়কেও জায়গা দখল করে দোকান কোঠা নির্মাণ করা হয়েছে। এসব দোকান, মার্কেট এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সময় দখলদাররা মাহামন্য হাইকোর্টে একটি রিটের অজুহাত দেখাচ্ছে। প্রবাসী রোকন মিয়া, আঙ্গুর মিয়া ও মৃত. আব্দুর রশিদের নামে হাইকোর্টে (নং-২০১০/২০০৬) রিট দাখিল করেছে দখলদার চক্র। রিটকারিদের মধ্যে একজন মৃত. ব্যাক্তি রয়েছেন অপর দু’জন স্থায়ীভাবে বিদেশে বসবাস করেন। কাজেই তাদের জাল নাম স্বাক্ষর দিয়ে রিট করা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এ ব্যাপারে মহামান্য হাইকোর্টে ভুক্তভোগীরা একটি আবেদন করেছেন।বৃহস্পতিবার বিকেলে সুনামগঞ্জের ছাতকে গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে যানজট নিরসন ও সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সরকারি) ভূমিতে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবীতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে অনুষ্টিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সুনামগঞ্জ জেলা মাইক্রোবাস শ্রমিক সংগঠনের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রজব আলী মোল্লার সভাপতিত্বে ও শিক্ষক পংকজ দাত্তের সঞ্চালনা অনুষ্টিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, যুব সংগঠক সদরুল আমিন সোহান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেরা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং-চট্র-১৬৯৩/৯৩ এর সভাপতি মো. আপ্তাব উদ্দিন, গোবিন্দগঞ্জ মাইক্রোবাস শ্রমিক শাখার নেতা রুহুল আমিন, আকামত আলী প্রমুখ।সভায় বক্তারা আরো বলেন, গোল চত্ত্বর নির্মাণকে কেন্দ্র করে সড়কের পাশে কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও অধিকাংশ স্থাপনা অদৃশ্য কারনে উচ্ছেদ করা হয়নি। অন্যদিকে স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছেলে-মেয়েরা প্রতিষ্টানে যেতে মারাত্বক ব্যগাত ঘটছে।গায়ে গা লেগে যায়। অন্যদিকে রেল লাইন থেকে ২০০ ফুট পশ্চিম পর্যন্ত ঠিকাদারকে ড্রেন নির্মাণ করতে দিচ্ছেনা অবৈধ দখলদাররা।যেকারনে ড্রেন নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। দায় নিচ্ছেনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি একটি দূর্ঘটনায় নিহত ঠেলা চালক বাহার উদ্দিনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবী জানান।শীঘ্রই গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দ্রুত ড্রেন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা না হলে বৃহত্বর এলাকাবাসীকে নিয়ে কঠোর আন্দোলনে যাবেন হুশীয়ারী দেন বক্তারা।