ছাত্রদল-শিবিরের বিরুদ্ধে দু’টি মামলাঃ অভিযুক্ত আড়াই শতাধিক

সত্যবাণী
সিলেট অফিসঃ সিলেটে যুবদলের ডাকা হরতাল চলাকালে ছাত্রদল ও শিবিরের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে। উভয় মামলায় স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল, ছাত্রদল ও জামায়াত-শিবিরের আড়াই শতাধিক নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগ নেতা ইমন আহমদ বাদী হয়ে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। এছাড়া পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে কোতয়ালি থানার এসআই  কল্লোল বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন। কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইমন আহমেদর মামলায় এজাহার নামীয় ১৪ জন এবং অজ্ঞাত ৫০/৫৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- সিলেট নগর ছাত্রদল সভাপতি সুদীপ জ্যোতি, সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল ও সদস্য সচিব শাকিল মোর্শেদ, নগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মিফতা সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির সদস্য মাহবুবুল হক চৌধুরী, নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফছর খান, মোমিনুল হক, সাবেক ছাত্রদল নেতা মকসুদ আহমদ। জামায়াত-শিবিরের ফখরুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, ওলিউর রহমান ও জয়নাল আবেদীন।
এছাড়া পুলিশের দায়ের করা মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৭০/১৮০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এজাহার নামীয় অভিযুক্তরা হলেন, নগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনার, ছাত্রদল নেতা আব্দুস সালাম টিটু, উবায়েদ, ওলিউর রহমান ঝুনু, সাবেক ছাত্রদল নেতা আরাফাত চৌধুরী জাকি, তারেক, শাকিল মুর্শেদ, জামায়াত-শিবিরের আফজাল আহমেদ, সুজাত আহমদ, রায়হান, আবিব, নাছির ও শিব্বির আহমদ।
প্রসঙ্গত, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা অবরোধের দ্বিতীয় দিন বুধবার যুবদলের হরতাল চলাকালে সকালে সিলেট জেলা ও নগর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বন্দরবাজারের জেলরোড এলাকা থেকে মহাজনপট্টি হয়ে করিমউল্লাহ মার্কেট এলাকায় একটি মিছিল বের করেন। এ সময় পুলিশ তাদের বাঁধা দিলে ছাত্রদলের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। একপর্যায়ে পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরে করিমউল্লাহ মার্কেটের উল্টো গলি থেকে বিশাল মিছিল বের করেন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা।
মিছিল নিয়ে তারা স্থানীয় করিমউল্লাহ মার্কেটের সামনের সড়কে অবস্থান নেন। একই স্থানে ছাত্রদল আগে থেকেই অবস্থানে ছিল। সে সময় করিমউল্লাহ মার্কেটের সামনের সড়ক দিয়ে ছাত্রলীগের তেলিহাওর গ্রুপের এমদাদ-সুজেল ও জাওয়াদের নেতৃত্বে হরতালবিরোধী মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রদল ও শিবির তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের নেতা এম আর মুহিবসহ কয়েকজনকে বেধড়ক পিটিয়ে ও ইট পাটকেল ছুড়ে আহত করা হয়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা পাল্টা ধাওয়া করে শিবির ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের প্রতিহত করে মাঠ দখলে নেন।

You might also like