ছাত্রলীগ লাল-সবুজের অহংকার —প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ
সত্যবাণী
সিলেট অফিসঃ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি বলেছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া সংগঠনের নাম বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামে বলিষ্ঠ নেতৃত্বদানকারী দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বাংলা ও বাঙালির স্বাধীনতা-স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যেই মূল দল আ’লীগের জন্মের এক বছর আগেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল গৌরব ও ঐতিহ্যের এ ছাত্র সংগঠনটি।
মন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। তার নেতৃত্বেই ওইদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা শুরু হয়। তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিবের প্রেরণা ও পৃষ্ঠপোষকতায় এক ঝাঁক মেধাবী তরুণের উদ্যোগে সেদিন যাত্রা শুরু করে ছাত্রলীগ। ৭৩ বছরে ছাত্রলীগের ইতিহাস হচ্ছে জাতির ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা, মুক্তির স্বপ্ন বাস্তবায়ন, স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনা, গণতন্ত্র ও প্রগতির সংগ্রামকে বাস্তবে রূপদানের ইতিহাস। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল সংগ্রামে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দিয়েছে এবং চরম আত্মত্যাগের মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে।
১৯৪৯ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দল হিসাবে ‘আওয়ামী মুসলিম লীগে’র আত্মপ্রকাশ ঘটে, যা পরে আওয়ামী লীগ নাম ধারণ করে এ দেশের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়। এ প্রেক্ষাপটে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বাঙালি জাতির ইতিহাসে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
’৫২ র ভাষা আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে বাঙালির ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা, ৫৪’র সাধারণ নির্বাচনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ পরিশ্রমে যুক্তফ্রন্টের বিজয় নিশ্চিত, ৫৮’র আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলনে ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা, ৬৬’র ৬ দফা নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া, ৬ দফাকে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে পাক শাসকের পদত্যাগে বাধ্য করা এবং বন্দীদশা থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করা, ৭০’র নির্বাচনে ছাত্রলীগের অভূতপূর্ব ভূমিকা পালন, ’৭১র মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখসমরে ছাত্রলীগের অংশগ্রহণ, স্বাধীনতা পরবর্তী সামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রের উত্তরণসহ প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগের অসামান্য অবদান দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব দেয়া সংগঠনের নেতাকর্মীরা পরে জাতীয় রাজনীতিতেও নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং এখনও দিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমান জাতীয় রাজনীতির অনেক শীর্ষনেতার রাজনীতিতে হাতেখড়িও হয়েছে ছাত্রলীগ থেকে।
গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা জানান, ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ মাঠে গোয়াইনঘাট উপজেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সুফিয়ান আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রেজওয়ান রাজীবের পরিচালনায় ছাত্র সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ নাজমুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, সম্মানিত অতিথি ছিলেন উপজেলা আ’লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম, সাধারণ সম্পাদক ও পশ্চিম আলীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া হেলাল, জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, গোয়াইনঘাট উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ফজলুল হক, মোজাম্মেল হক মেনন, নজরুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আ’লীগের যুব সম্পাদক কামরুল হাসান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক স্কুল ও ছাত্র সম্পাদক হোসেন আহমদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মিছবাহ উদ্দিন, শাহজাহান সিদ্দিক সাবুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও গোয়াইনঘাট সদর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সুমন, আসাদুজ্জামান আসাদ, আশরাফ জামিল লায়েক, গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া রাসেল, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফখরুল ইসলাম, বর্তমান সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুল প্রমুখ।