জগন্নাথপুরে পৌরবাসীর দুর্ভোগ চরমে
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষের ড্রেন পরিষ্কার না করা, বাসাবাড়ির জমা ময়লা পরিষ্কার না করার কারণে পৌরসভার বাসুদেব বাড়ির এলাকায় বসবাসরত মানুষ চরম দুর্ভোগে জীবনযাপন করছেন। ড্রেন পরিষ্কার না করার ফলে পৌর এলাকায় বসবাসরত মানুষের চলাচলেও প্রতিনিয়ত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। খাল দখল করে বড় বড় বিল্ডিং করে পানি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন খাল নির্ধারণ করে চিহ্নিত করার পরও পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিষ্কাশনের কাজ করছে না।এদিকে, রাস্তায় জমে থাকা পানি আর বাসা-বাড়ির ময়লা থেকে জীবাণুবাহী মশা ও কীটপতঙ্গ জগন্নাথপুর পৌর এলাকার, বাসুদেব বাড়ি এলাকার লোকজন এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন। ব্যাংক কলোনিসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, বাসাবাড়ি ও অফিসসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়ছে। এতে মানুষের শরীরে সহজেই রোগব্যাধি দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্রুত ড্রেন পরিষ্কার ও বাসা-বাড়ির ময়লা সরিয়ে নেয়ার জন্য পৌরসভাকে অবহিত করলেও পৌরসভার পাঠানো লোকদেরকে অতিরিক্ত টাকা না দিলে কাজ হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। আবার অনেক সময় কাজের কাজ কিছুই হয় না।
জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা জানান, পৌরসভার বাসা-বাড়ির ময়লা সরানোর দায়িত্বে নিয়োজিত সুপারভাইজার বিকলেষ চক্রবর্তী জানান, পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ময়লা সরিয়ে নিতে দেরি করছে। আমরা দ্রুত বাসা-বাড়িতে জমে থাকা ময়লা সরিয়ে নেব। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর কৃষ্ণচন্দ চন্দ্র জানান, বাসুদেব বাড়ির রাস্তাটি খাল বন্ধ রাখার কারণে পানি সরাতে সমস্যা হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের উদ্যোগে খাল চিহ্নিত করেছি। যারা দখল করে নিয়েছে, তাদের কে বলা হয়েছে ড্রেনের কাজ শুধু হবে সরকারি জায়গা ছাড়ার জন্য। মশার ওষুধ দেয়ার জন্য লোক যাবে বলে জানান তিনি।স্থানীয় এক শিক্ষক জানান, দীর্ঘদিন থেকে বাসুদেব বাড়ির রাস্তায় পানি জমে থাকার কারণে স্কুলের শিক্ষার্থীসহ এলাকার মানুষের চলাচল করতে নানা সমস্যা হচ্ছে।উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মধুসুদন ধর বলেন, বাসুদেব বাড়ির রাস্তা খুবই খারাপ, ডেঙ্গু হতে পারে। পৌর কর্তৃপক্ষের রাস্তাটি সংস্কার করা জরুরী বলে মনে করি।বাসুদেব বাড়ি এলাকার ব্যবসায়ী সুবল দেব বলেন, আমরা পৌরসভায় বাস করছি না। নোংরা জায়গায় বসবাস করছি। পৌর কাউন্সিলকে বার বার বলার পরও কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।পৌর মেয়র আখতারুজ্জামান আখতার বলেন, আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ড্রেনের কাজ শুরু করবো।