‘জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত সিলেটি মন্ত্রী-মেয়ররা’
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ নগরিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টিতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নগরবাসি। শনিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে নগরিতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র জলাবদ্ধতা। রাস্তায় হাঁটুসমান পানি জমে আটকা পড়েছে যানবাহন, সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। বিপণিবিতান গুলোতে ঢুকে পড়েছে জলাবদ্ধতার পানি। পানি ঢুকে পড়েছে নগরির বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে। প্রচ- দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে। ৫ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে নগরির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন দৃশ্য।অতিবৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে নগরীর বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, বারুতখানা, হাওয়াপাড়া, নাইওরপুল, মির্জাজাঙ্গাল, লালাদিঘিরপাড়, মাছিমপুর, মনিপুরী রাজবাড়ি, জালালাবাদ, দরগাহ গেইটসহ অধিকাংশ এলাকায়। বারুতখানা এলাকার কয়েকটি দোকান এবং দর্শনদেউড়ি, জালালাবাদ হাউজ, ইদ্রিছ মার্কেট ও রাজা ম্যানশনের ভেতরে ঢুকে পড়েছে পানি। হাঁটুসমান পানি জমে থাকায় রাস্তায় চলাচলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে যানবাহন। ধীরগতির কারণে অনেক সড়কে দেখা দেয় যানজট।
জলাবদ্ধতার বিষয়ে জানতে চাইলে ক্ষোভ প্রকাশ করে নগরির জালালাবাদ এলাকার বাসিন্দা ডা. রায়হান গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের সিলেটি মন্ত্রী আর মেয়ররা সামনের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। এদিকে একটু বৃষ্টি হলেই সিলেটের রাস্তাঘাট সমুদ্র হয়ে যায়। আমার জালালাবাদ এলাকায় হাঁটুর উপরে পানি। ২০২২ সালে এসে দুবাই কৃত্রিমভাবে বৃষ্টি ঝরাচ্ছে। আর আমরা এখনো রাস্তাঘাটে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করতে পারিনা। জলাবদ্ধতার জন্য বাইরে বের হতে পারি না।টানা বৃষ্টিতে নগরির বেশ কয়েকটি এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ ও এলাকাবাসী দোষারোপ করছেন নগর কর্তৃপক্ষকে। তারা এই জলাবদ্ধতার জন্য সিটি কর্পোরেশনের উদাসীনতা বলে মনে করছেন। অনেকেই বলেন, ড্রেনেজ সিস্টেমগুলো যদি সঠিক সময় সংস্কার করা হতো তাহলে জনগণকে এই ভোগান্তি পোহাতে হতো না। বারবার এই ভোগান্তির পর সিসিকের টনক না নড়ায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।নগরির দরগা মহল্লার পায়রা এলাকার আজমল আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সিটি কর্পোরেশন লোক দেখানো কাজ করে। ২ মাস আগে ভয়াবহ বন্যার পর যদি খাল-নালাগুলো পরিস্কার করা হতো, তাহলে আজ ১/২ ঘন্টায় শহরের এমন পরিস্থিতি হতোনা। এই পরিস্থিতি আমাদের আর ভালো লাগছে না।
বৃষ্টিপাতের বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাইদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, সোমবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে ১০৮.২ মিলিমিটার। রোববার মোট বৃষ্টিপাতের পরিমান ছিলো ১৩.৫ মিলিমিটার। এর আগের দিন ছিলো ১১৬.২ মিলিমিটার। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মঙ্গলবার থেকে কমে আসবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের এই কর্মকর্তা।