জামালগঞ্জে ঘাগটিয়া প্রাইমারী স্কুলের মালামাল আত্মসাত
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের ছোট-ঘাগটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মরিয়ম মাখনী মাহিনের দুনীতির অভিযোগ এনে (নিয়ম বর্হিভুত সভাপতি দেয়া) বদলী ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে দুনীতির অভিযোগ এনে ওই গ্রামের ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া, শফিকুল ইসলাম, আমির হোসেনসহ বেশ ক’জন সমাজকর্মী লিখিত অভিযোগ করেছেন।গত সোমবার সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের অনুলিপি সদয় অবগতির জন্য প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় ঢাকা, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য, জেলা প্রাথমিক শিক্ষ কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহঅ কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কে প্রেরণ করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক নিয়ম বর্হিভুত এসএসসি পাশ সভাপতি যার কোন সন্তান স্কুলে নেই ও বিদ্যুৎসাহীদের কোন শিক্ষার্থী স্কুলে না থাকলেও কোন এক অদৃশ্য কারনে তাদেরকে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সদস্য করা হয়েছে। এ ছাড়াও প্রায় দুই-তিন মাস পূর্বে ছোট-ঘাগটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নতুন ভবন নির্মানের জন্য পুরাতন আধা-পাকা বিল্ডিং ভেঙ্গে ফেলা হয়। ওই বিল্ডিং এর পুরাতন টিন, কাট, দরজা-জানালা, ইট, পুরাতন বেঞ্চ ইত্যাদী সরকারী নিয়ম বর্হিভুত নিলামে না দিয়ে সভাপতি, প্রধান শিক্ষক ও দপ্তরী যোযোগে আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া স্কুলের পরিবেশ বান্ধব বড় দুইটি গাছ ও লোকজন কে না জানিয়ে বিক্রি করেছে বলে জানা গেছে। প্রধান শিক্ষকে ওই মালামার ও গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অভিভাবক ও গ্রামের বেশ কয়েক জনের সাথে অশালিন ভাষায় খারাপ আচরণ করে।
অভিযোগে আরো উল্ল্যেখ, করোনা কালের পূর্বে বিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার আগমুহুর্তে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্শক মরিয়ম মাখনি (মাহিন) শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা কোন কিছু জানতে চাইলে প্রায়ই খরখস ভাষায় অসালিন আচরণ করে। এমন আচরনের জন্য ওই শিক্ষক তার শ^শুর বাড়ির স্কুল থেকে মানুষের অভিযোগে ঘাগটিয়া বদলী করা হয়। তার এমন অশালীন আচরণে গ্রামের অনেক মানুষ ক্ষুব্দ, শিক্ষার্থেিদর পড়ালেখার খবরা-খবর জানতে চাইলে খরখস ভাসায় অসদাচারণ করে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে মরিয়ম মাখনী (মাহিন) দ্রুত বদলী করে সদাচারণ শিক্ষক দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে গ্রামবাসী দাবী ও পুরাতন অধা-পাকা বিল্ডিং এর সমুদয় মালামাল উদ্ধারসহ প্রধান শিক্ষকের বদলী ও প্রযোজনীয় ব্যাবস্থা নিতেও জোর দাবী জানান তারা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন বলেন, পুরাতন বিল্ডিংএর মালামাল জমা আছে। আমার বিরোদ্ধে মিথ্যা অবিযোগ করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক মরিয়ম মাখনী মাহিনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়ে বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
জামালগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন বলেন, মানুষের মুখে বিষয়টি আলোচনা শুনেছি এখনো অভিযোগের কপি পাইনি, পেলে তদন্তের পর পরবর্তি পদক্ষেপ নেয়া হবে।জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ^জিত দেব বলেন, বিষয়টি মৌখিক ভাবে শুনেছি, এখনো অভিযোগের কপি আমার হাতে পৌঁছেনি, অভিযোগটি আসলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, অভিযোগটি সম্ভবত পেয়েছি, যেহেতু জেলা প্রশাসক স্যার ববরাবরে দেয়া হয়েছে তিনিই হয়তো আমাদেরকে অথবা জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত করাতে পারেন। তার পরও আমরা বিষয়টি খুঁজ-খবর নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের, মুঠোফোনে ফোনকল দিলে তিনি রিসিপ না করায় বক্তব্য জানা যায়নি।