জুড়ীর বেলাগাঁও গ্রামের  রাস্তায় ফাটল

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের হাওর তীরবর্তী বেলাগাঁও গ্রামের রাস্তায় ব্যাপক ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাটল পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পাওয়ায় রাস্তাটি নদীতে বিলীণ হতে চলেছে। এতে করে এ এলাকার ৬/৭ হাজার অধিবাসীসহ কয়েক হাজার কৃষক দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। বিশেষ করে এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকির চলমান রবিশস্য আহরণ ও কিছুদিন পর বোরো ধান স্থানান্তর নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কৃষিজীবীরা।সরেজমিন অনুসন্ধান করে আমাদের জুড়ী সংবাদদাতা জানান, উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নে জুড়ী-কুলাউড়া সড়কের কন্টিনালা নদীর পশ্চিমদিকে গড়েরগাঁও হয়ে বেলাগাঁও (পশ্চিমপাড়) গ্রামের রাস্তা বয়ে গেছে। রাস্তাটি গড়েরগাঁও, কাটানালারপাড়, বেলাগাঁও, সোনাপুর ও রাবার ড্যাম হয়ে হাকালুকি হাওর পর্যন্ত বিদ্যমান। এ সড়ক দিয়ে উক্ত এলাকার ৬/৭ হাজার বাসিন্দা চলাচল করে থাকেন। হাজারো শিক্ষার্থী বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় যাতায়াত করেন। তাছাড়া হাকালুকি হাওরে উৎপন্ন মাছ, বোরো ধান, শীতকালীন সবজি ও রবিশস্য এ সড়ক দিয়েই পরিবহন করা হয়।

ইতোমধ্যে কন্টিনালা নদীর পশ্চিম তীরবর্তী এ সড়কের বিভিন্ন অংশে ছোট ছোট ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত ৩/৪ দিন থেকে সড়কের গড়েরগাঁও এলাকায় ফাটল দেখা দেয়। প্রতিদিনই ফাটলের আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২৮ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ফাটলটি ব্যাপক আকার ধারণ করায় জনসাধারণ ও যান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যে কোন সময় সড়কটি নদীগর্ভে বিলীণ হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় এলাকার শতাধিক বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে হুমকির মূখে।স্থানীয়রা জানান, জুড়ী নদীর শাখা কন্টিনালার পশ্চিমপাড় গড়েরগাঁও হতে রাবার ড্যাম রাস্তার এক কিলোমিটার রাস্তা ২০১৫-১৬ সালে পাকাকরণ হয়। বাকি রাস্তা কাঁচা। এই রাস্তা দিয়ে গড়েরগাঁও একাংশ, কাটানালারপাড়, বেলাগাঁও ও সোনাপুর গ্রামের লোকজন চলাচল করেন। প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহনে এলাকাবাসি নিত্য পণ্য আনা-নেয়া করেন। সেসাথে হাকালুকি হাওরের যাতায়াতের অন্যতম এই রাস্তা দিয়ে হাওরে উৎপাদিত মাছ, বোরো ধান, মিষ্টি কুমড়ো, আলু, বাদাম, ভূট্টাসহ কৃষিপণ্য পরিবহন করা হয়। ফাটলের সাথে রাস্তাটি নদীতে বিলীণ হতে যাওয়ায় রবিশস্য ও বোরো ধান পরিবহন নিয়ে লোকজন সংকটে পড়েছেন। স্থানীয়রা জরুরী ভিত্তিতে রাস্তাটির ভাঙ্গন ঠেকাতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান।২৮ মার্চ মঙ্গলবার ভাঙ্গনকবলিত রাস্তাটি পরিদর্শন করেছেন ইউএনও রঞ্জন চন্দ্র দে ও উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী ননী গোপাল দাস।জায়ফরনগর ইউপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, এই রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষের চলাচল। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছি।এ ব্যাপারে এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী ননী গোপাল দাস বলেন, আমি ও ইউএনও স্যার রাস্তাটি দেখে এসেছি। দ্রুত একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে নদীভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প প্রয়োজন। সেজন্যও আমি এলাকাবাসীর সাথে পরামর্শ করেছি।

You might also like