টেক্সাসে একই পরিবারের ৬ বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার
আন্তজার্তিক ডেস্ক
সত্যবাণী
যুক্তরাষ্ট্রঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাস শহরের উপকণ্ঠের একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের ৬ বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সময় সোমবার (৫ এপ্রিল) ভোর রাতে এলেন সিটির পুলিশ টেলিফোন পেয়ে ঐ বাসায় গেলে নৃশংসভাবে হত্যার শিকারদের লাশ উদ্ধার করে।প্রাথমিক বর্ণনায় পুলিশ জানায়, দু’ভাই মিলে তাদের মা-বাবা, নানি এবং একমাত্র বোনকে হত্যার পর নিজেরাও আত্মহত্যা করেছে।নিহতরা অভিবাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হয়েছিলেন। তবে নিহতদের নাম পরিচয় সে ব্যাপারে বিস্তারিত এখনও কিছু জানা যায়নি।পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে- পরিবারের ছয় সদস্যের মধ্যে দুই ভাই অন্য চার সদস্যকে হত্যা করেন এবং তারপর নিজেরা আত্মহত্যা করেন।
এদিকে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অ্যালান শহরের পুলিশ জানিয়েছে, ওই পরিবারের কোনো এক সদস্য আত্মহত্যা করেছেন বলে তাদের পারিবারিক এক বন্ধু পুলিশকে জানানোর পর তারা ওই বাড়িতে যান।স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ডালাস মর্নিং নিউজ’কে পুলিশ সার্জেন্ট জন ফেলতি জানান, ‘ধারণা করা হচ্ছে- ওই পরিবারের দুই ভাই আত্মহত্যা করার ব্যাপারে একমত হন এবং এর আগে তাদের পুরো পরিবারকে সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়ার (হত্যার) সিদ্ধান্ত নেন।’নিহতদের পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ। তবে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে দু’জন টিনএজ বয়সী ভাই, তাদের এক বোন, তাদের বাবা-মা এবং দাদি রয়েছেন। পুলিশ বলছে, সবচেয়ে কমবয়সী নিহতের বয়স ১৯ বছর।এই হত্যাকাণ্ড কখন ঘটেছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশের ধারণা, শনিবার অথবা রোববার এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে।
পুলিশ কর্মকর্তার জন ফেলতি জানান, ওই পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতিবেশিদের ওপর কোনো হুমকি ছিল না এবং এর আগে ওই বাড়িতে কোনো ধরনের সমস্যার কথাও শোনা যায়নি।ফেলতি আরও জানান, পরিবারটি অভিবাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন।এলেন সিটি পুলিশের সার্জেন্ট জন ফেলী গণমাধ্যমকে জানান, সম্ভবত, গত শনিবার এমন নৃশংসতার ঘটনা ঘটেছে। ১৯ বছর বয়সী একজনের ফেসবুকের স্ট্যাটাসে এই পরিস্থিতির বর্ণনা করা হয়েছে। পুলিশের মতে ‘আত্মহত্যার প্রসঙ্গ’-তে রয়েছে, হতাশার ধারাবিবরণী।ক্যারেন ফেল্লা নামের ওই পরিবারের এক প্রতিবেশী বলেন, যথারীতি আমরা রবিবার কাজে গেছি। কিছুই বুঝিনি যে, ওরা কেউ আর বেঁচে নেই। এই পরিবারের ব্যাপারে তাদের বেশি ধারণা নেই।ফেল্লা নিহত পরিবারের একমাত্র তরুণীর ব্যাপারে বলেন, সে খুবই মেধাবী ছাত্রী ছিল। আমার মেয়ের স্কুলেই পড়তো।