তরুণ প্রজন্মই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে: স্পিকার
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন ধারণ করে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মকে প্রস্তুতি নিতে হবে। তিনি বলেন, জনসংখ্যার সিংহভাগ তরুণ প্রজন্মই উন্মোচন করবে সম্ভাবনার নব দিগন্ত। বঙ্গবন্ধুর দর্শনকে ধারণ করে বিজয় দিবসের প্রত্যয় হোক কাণ্ডারীর ভূমিকায় অবর্তীণ হয়ে তরুণ প্রজন্মই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।বাংলাদেশের ৫০তম বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন ইউকে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ এট ফিফটি : এ জার্নি টুওয়ার্ডস প্রসপারিটি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে স্পিকার এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। করোনা মহামারির মাঝেও অর্জিত হয়েছে ৫.২ ভাগ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যা পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে কম হলেও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় আশাতীত।তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা তৃণমূলে পৌঁছে দিতে কাজ করছে সরকার। নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে নারী উদ্যোক্তা তৈরি, নারী প্রশিক্ষণ প্রভৃতিতে বেশ মনোযোগী বর্তমান সরকার। নারীরা যাতে ডিজিটাল ডিভাইডের বাইরে থাকে সেজন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদেন করে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ২৪ বছরের আন্দোলন সংগ্রাম, ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত লাল-সবুজের পতাকার আজকের বাংলাদেশ এখন তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় প্রত্যয়ে ৬.১৫ কি:মি: দীর্ঘ পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান। পূর্ণাঙ্গরূপে পদ্মা সেতু খুলে যাওয়ার পর বদলে যাবে দক্ষিণবঙ্গের অর্থনৈতিক দৃশ্যপট। জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে যুক্ত হবে পদ্মা সেতুর অর্থনৈতিক ডিভিডেন্ড।
এসময় আবেগজড়িত কণ্ঠে স্পিকার বলেন, ‘এ দেশ আমাদের সকলের, তাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ দেশকে গড়ে তুলতে হবে।’ একইসঙ্গে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত সমতাভিত্তিক উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সকলকে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।তিনি বলেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হলেই আমরা পৌঁছে যাব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্নের ঠিকানা সোনার বাংলায়।বুলবুল হাসানের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সাদেকা হালিম, শামীম আজাদ, আসিফ মুনীর, প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া, এনাম হক, আনোয়ার খান ও মোহাম্মদ বজলুর রহমান বক্তব্য রাখেন।