ত্যাগের ঈদে আল্লাহর কাছে করোনামুক্তির আকুতি
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ হে আল্লাহ,যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের সুস্থতা দান করুন। আপনি এই ভাইরাস থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করুন,আমাদের মাফ করুন।সারা পৃথিবীর মানুষকে ক্ষমা করে দিন।সারাবিশ্বকে করোনামুক্ত করে দিন।আমিন’।শনিবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত শেষে এভাবেই মোনাজাতে আকুতি করেন জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান।
মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়েছে।পাশাপাশি সম্প্রতি বিশ্ব ও বাংলাদেশজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতদের জন্য দোয়া করা হয়। এছাড়া মোনাজাতে সবার গুনাহ মাফ ও মৃত ব্যক্তির কবরের আজাব মাফ চাওয়া হয়েছে। বিশ্ব শান্তির জন্য দোয়া করা হয়।এছাড়াও এ সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার নিহত পরিবারের রুহের মাগফিরাত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।সদ্য প্রয়াত ধর্মমন্ত্রী অ্যাড. শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর মাগফিরাত এবং জামাতে উপস্থিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের দীর্ঘায়ুর জন্য দোয়া করা হয়। মোনাজাত শেষ হয় ৭টা ২৬ মিনিটে।এর আগে,সকাল থেকেই মাস্ক পরে মুসল্লিরা দলে দলে বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নেয়ার জন্য যোগ দেয়।নির্ধারিত সময় সকাল ৭টায় নামাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ৭টা ৮ মিনিটে।
মসজিদে ঢোকার আগে আগতদের মাস্ক চেক করে গেটে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা। নামাজের জন্য মুসল্লিদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফাঁকা ফাঁকা হয়ে বসতে দেখা যায়।করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের কারণে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবারও জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার নামাজ হচ্ছে না।এদিকে,গত ১৪ জুলাই ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ঈদের জামাত নিয়ে কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।এতে বলা হয়েছে,ঈদের নামাজের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না।নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে।প্রত্যেকে মুসল্লি নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।
প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং অজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে অজুর স্থানে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে।ঈদের নামাজের জামাতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।শিশু ও বৃদ্ধসহ অসুস্থ ব্যক্তি বা অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামাতে অংশ নেবেন না। সর্বসাধারণের সুরক্ষার নিমিত্ত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ,স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে।
ঢাকায় কখন কোথায় ঈদের জামাত
বায়তুল মোকাররমে ঈদের দ্বিতীয় জামাত সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে হয়েছে।এছাড়া তৃতীয় জামাত সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে, চতুর্থ জামাত ৯টা ৩৫ মিনিটে,পঞ্চম জামাত হবে সকাল সাড়ে ১০টায় এবং সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।এছাড়া সরকারি আলিয়া মাদরাসা, ঢাকা মসজিদ এবং ধানমন্ডি ঈদগাহ মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুরান ঢাকার বংশাল বড় মসজিদ, নিমতলী ছাতা জামে মসজিদ, তারা মসজিদ, নাজিরা বাজার আহলে হাদিস মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া সকাল সাড়ে ৮টার পর দুটি করে ঈদের জামাত হয়েছে।ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।সকাল ৯টায়, ধানমন্ডির বায়তুল আমান মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ও সাড়ে ৮টায় দুটি করে জামাত হয়েছে।রাজধানীর গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদে সকাল ৬টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টায় ঈদের দুইটি জামাত হবে। মিরপুর কাজীপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তিনটি জামাত হয়েছে।