দক্ষিণ সুরমায় স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু’র জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গণসমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে:জাহাঙ্গীর কবির নানক
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
দক্ষিণ সুরমায়: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট ঘাতকরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে এ দেশের অগ্রযাত্রাকে রূদ্ধ করতে চেয়েছিল। কিন্তু আল্লাহর রহমতে জাতির জনকের সুযোগ্য সন্তান জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এখানেও ঘাতকরা থেমে থাকেনি। বার বার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণী এবং এই দেশের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের অব্যাহত দোয়ায় তিনি রক্ষা পেয়েছেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট এদেশের তৎকালীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নৃশংসতম গ্রেনেড হামলা চালিয়েও শেখ হাসিনার বজ্রকন্ঠ রোধ করতে পারেনি। তবে দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, এই নিষ্ঠুর হামলায় আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ ২৪জন নেতা-কর্মীকে আত্মাহুতি দিতে হয়েছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরের মধ্যে দীর্ঘ ২১ বছর এ জাতিকে নিষ্ঠুর নির্যাতন সইতে হয়েছে। কারণ স্বাধীনতা বিরোধীরা এদেশের মুক্তিকামী জনগণের নির্মম প্রতিশোধ নিতে পিছনের দরোজা দিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছিল। এদেশের মাটিতে সেই দিন আর আসবে না। দেশবাসিকে আর দুর্ভোগ সইতে হবে না। আমরা সবাই মিলে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো সুদৃঢ় করবো ইনশাল্লাহ।
তিনি গতকাল (২২ ডিসেম্বর) বুধবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলার চন্ডিপুলে সিলেট-৩ আসনের এমপি হাবিবুর রহমান হাবিবের সহযোগিতায় এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন সমুহের উদ্যোগে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শামীম আহমদের পরিচালনায় এতে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সাবেক এমপি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট-৩ আসনের এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন পিপি, এ্যাডভোকেট শাহ মোশাহিদ আলী ও ড. আহমদ আল কবির, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কবির উদ্দিন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি সম্পাদক হাজী ফারুক আহমদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট ছালেহ আহমদ হীরা, উপ-প্রচার সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান ও নির্বাহী সদস্য শহীদুর রহমান শাহীন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, জেলা তাঁতীলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন, বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনহার মিয়া চেয়ারম্যান, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজ্জাক হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাশুক উদ্দিন আহমদ, সাবেক প্রচার সম্পাদক আব্দুর রব, সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ, সিলাম ইউপি’র নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহ ওলিদুর রহমান, লালাবাজার ইউপি’র নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান তোয়াজিদুল হক তুহিন, জালালপুর ইউপি’র নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ওয়েস আহমদ, দাউদপুর ইউপি’র নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আতিকুল হক, উপজেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল কাদির সাদেক, সাধারণ সম্পাদক সারওয়ার আলম মিথুন, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক নুরুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক আশিক আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সানী প্রমুখ।মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট রঞ্জিত সরকার, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আজমল আলী, মানবসম্পাদক সম্পাদক বুরহান উদ্দিন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. শাহীন, জেলা আওয়ামী লীগ এ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান, মবশ্বির আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম এ রহিম, বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুস্তাকুর রহমান মফুর, জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহেদ আলী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহীন আলী, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ছদরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি জাহাঙ্গীর কবির নানক সিলেটবাসীর প্রতি অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সিলেট বিভাগের উন্নয়নের প্রতি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আলাদা দৃষ্টি রয়েছে। আওয়ামী লীগ নেত্রীর হাত দিয়েই সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরিত হয়েছে। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হচ্ছে। সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক ডাবল লাইন থেকে ৬ লাইনে উন্নীত হচ্ছে। এছাড়াও আরো অনেকগুলো প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ্ই প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হলে সিলেট বিভাগের চেহারা পাল্টে যাবে। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় সকলকে সামিল হওয়ার উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।গণসমাবেশের দ্বিতীয়পর্বে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন মানিকগঞ্জ-২ আসনের এমপি, বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম।