দিরাইয়ে বাসে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা বাসচালক শহীদ মিয়ার তিন দিনের রিমা- শেষে কারাগারে প্রেরণের আদেশ
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে যাত্রীবাহী বাসে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় মূল আসামী গ্রেফকারকৃত বাসচালক শহীদ মিয়াকে তিন দিনের রিমা- শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আজ বৃহষ্পতিবার দুপুরে আমলগ্রহণকারী আদালত দিরাই জোন এর বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাগীব নূর এর আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। সুনামগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আশেক সুজা মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শহীদ মিয়া সিলেটের জালালবাদ থানার মোগলগাঁও ইউনিয়নের মোল্লারগাঁও গ্রামের তৌফিক মিয়ার ছেলে। ২ জানুয়ারি শনিবার ভোরে সিআইডি পুলিশ সুনামগঞ্জের পুরাতন বাসস্টেশন থেকে তাকে আটক করে। পরদিন রোববার সিআইডির হেডকোয়ার্টারে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে শহীদ মিয়াকে দিরাই থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
এ ঘটনায় এর আগে ২৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে হেলপার রশিদ আহমদকে ছাতকের বুড়াইরগাঁও থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেট। হেলপার রশিদও ২৯ ডিসেম্বর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জাবনবন্দী দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ ডিসেম্বর শনিবার বিকালে সিলেটের লামাকাজী থেকে দিরাইয়ে যাচ্ছিলেন ওই কলেজ ছাত্রী। দিরাই পৌরসভার সুজানগর গ্রামের পাশে এসে যাত্রীবাহী বাসে অন্য সব যাত্রীরা নেমে গেলে একা হয়ে যান ওই ছাত্রী। এসময় চালক ও হেলপার কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। সম্ভ্রম বাঁচাতে ওই ছাত্রী চলন্ত বাস থেকেই লাফিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে সড়কের পাশ থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দিরাই হাসপাতালে নেন। মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। খবর পেয়ে নির্যাতিতার স্বজনসহ স্থানীয়রা রাতে দিরাই থানার সামনে বিক্ষোভ করেন ও পুলিশ বাসটি জব্দ করে।
এঘটনায় ওই দিন রাতেই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাসের চালক শহীদ মিয়া ও হেলপার রশিদ আহমদসহ তিনজনকে আসামী করে দিরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই ছাত্রী সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ২২ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত তাকে বাবা-মার কাছে দিয়েছেন। ওই ছাত্রী এখন বাড়িতে বিশ্রামে রয়েছেন।