দেশের উন্নয়নে প্রবাসীরাও অংশীদার :প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ বাংলাদেশ সরকারের নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন,প্রবাসীদের অবদানে আমাদের দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছ।শিক্ষাক্ষেত্রসহ দূর্যোগে এবং মানবিক কার্যক্রমে সরকারের পাশাপাশি এগিয়ে আসেন প্রবাসীরা।তাই দেশের উন্নয়নে প্রবাসীরাও অংশীদার।প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ৫৪টি নদীর মধ্যে কুশিয়ারা একটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় নদী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সরকারের সাথে কুশিয়ারা নদীর পানিবন্ঠন চুক্তি করেছেন। কুশিয়ারা নদী থেকে ভারত এবং বাংলাদেশ কতটুকু পানি পাবে সেটা নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। কুশিয়ারা নদীর নাব্যতা শুধু নয়, মানুষের জীবন-জীবিকার জন্য কুশিয়ারা নদীকে কিভাবে কাজে লাগানো যায় এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা জানান, ৭ জুন বুধবার দুপুরে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার প্রবাসী বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর এডুকেশন ট্রাস্টের বৃত্তি বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিলেটের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। মানুষকে সেবা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী পৃথকভাবে ওসমানীনগর উপজেলা ঘোষণা করেছেন। এখানে একটি টেকনিকেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রয়োজন। আমি বিশ্বাস করি আগামী এক বছরের মধ্যে ওসমানীনগরে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ হবে সরকারী অর্থায়নে।উপজেলার বুরুঙ্গা ইকবাল আহমদ স্কুল এন্ড কলেজে আয়োজিত বৃত্তি বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট-৩ আসনের এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব, ওসমানীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদ। প্রবাসী বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর এডুকেশন ট্রাস্টের সভাপতি বদরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান আনা মিয়া, জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল হামিদ, উমরপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া, তাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান অরুণোদয় পাল ঝলক, গোয়ালাবাজার ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমানসহ ট্রাস্টি, স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাকরা উপস্থিত ছিলেন। ট্রাস্টের উদ্যোগে ২ উপজেলার মোট ১,২২৫ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৫১ লাখ টাকার বৃত্তি বিতরণ করা হয়। ওসমানীনগর উপজেলার ৩৯ বিদ্যালয়ের ৮৭২ জন ও বালাগঞ্জ উপজেলার ২৫টি বিদ্যালয়ের ৩৪৬ জন শিক্ষার্থী বৃত্তির অর্থ ও সনদপত্র গ্রহণ করেন।