পঞ্চাশ বছর পর হাকালুকিতে টর্নেডো
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ এশিয়ার সর্ববৃহৎ হাওর হাকালুকিতে দেখা মিলেছে জলস্তম্ভ। হাকালুকিতে এমন দৃশ্য খুবই বিরল।পঞ্চাশ বছরের মধ্যে হাওরে এমন দৃশ্যের দেখা মিলেনি বলে মন্তব্য করছেন এলাকাবাসী।গত শনিবার বিকেলে কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলা থেকে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ হাওর হাকালুকিতে এমন জলস্তম্ভের দেখা মিলে।বিশেষজ্ঞ সূত্রে জানা গেছে, জলস্তম্ভ হচ্ছে জল দিয়ে মোড়ানো বাতাসের তৈরি পিলার।টর্নেডোর ফলে এটি সৃষ্টি হয়। জলভাগের উপর শক্তিশালী টর্নেডো সৃষ্টি হলে প্রবলবেগে ঘূর্ণায়মান বায়ুর টানে জলভাগের জল টর্নেডোর কেন্দ্র বরাবর স্তম্ভাকারে ঘুরন্ত অবস্থায় উপরে উত্থিত হয়। একে জলস্তম্ভ বলে। তবে গ্রামাঞ্চলে এটি মেঘশূর নামে পরিচিত, একে ধ্বংসের প্রতীকও মনে করেন অনেকে।
দেখতে টর্নেডোর মতো হলেও টর্নেডোর সাথে এর মৌলিক পার্থক্য উপাদানে। টর্নেডোতে থাকে বায়ু আর জলস্তম্ভে বায়ুর পরিবর্তে থাকে পানি। জলস্তম্ভ সাধারণত পানিতেই থাকে বলে জনপদে আহামরি ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালাতে পারে না। আর স্থলভাগের স্পর্শে আসলে এটি গুড়িয়ে যায়।জুড়ী উপজেলার বাসিন্দা কুতুব উদ্দিন জসিম জানান,এমন দৃশ্য বেশ কয়েকবছর আগে হাকালুকিতে দেখা গিয়েছিল বলে শুনেছি। এরপর এমন ঘটনা আজই শুনলাম। জলস্তম্ভ দ্বারা কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর জানা যায়নি।বিকেলে ঘন্টাখানেক থেকে পরে অন্ধকারে বিলীন হয়ে যায় এটি।কুলাউড়ার ইউএনও মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকার বলেন, আমি বিষয়টির খোঁজ নিচ্ছি। এমনটা হাওর এলাকায় হতে পারে।বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ চৌধুরী জাপানের কাইটো বিশ্ববিদ্যালয়ের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ের প্রফেসর ড. শি থাইচি হায়াসিস এর বরাত দিয়ে বলেন, এটি এক ধরনের টর্ণেডো। মুলত টর্নেডোর কারণে এ রকমটি হয়ে থাকে। তবে এ ধরনের ঘটনা সচরাচর কমই দেখা যায়।