পাকিস্তানকে ১২৮ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ইনজুরির জন্য লম্বা সময় ছিলেন মাঠের বাইরে। বিশ্বকাপের ঠিক আগে আগে আবার ফিরতে পারেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথম তিন ম্যাচে মাঠে নেমে শিকার করতে পারেন মোটে ১ উইকেট।সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে ৩ উইকেট শিকারের মধ্য দিয়ে আবার ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দেন এই পাকিস্তানি পেসার। বাংলাদেশের বিপক্ষেও সেই ফর্ম ধরে রাখেন আফ্রিদি। শিকার করেন ৪ উইকেট।আর তাতে বিশ্বকাপের মঞ্চে অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বসাকুল্যে ১২৭ রান তুলতে পারে টিম টাইগার। সেমিফাইনালে যেতে হলে পাকিস্তানকে এই রানের মধ্যে আটকে রাখতে হবে বাংলাদেশি বোলারদের।
অ্যাডিলেডে পাকিস্তানের বিপক্ষে আজ লিটন দাস এবং নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের ইনিংস। তবে সে জুটিকে স্থায়ী করতে পারেননি লিটন, ব্যক্তিগত ১০ রান করে ফিরে যান এই ওপেনার। এরপর অবশ্য সৌম্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস বড় করার কাজটা চালিয়ে যেতে থাকেন শান্ত। তবে দলীয় ৭৩ রানে ব্যক্তিগত ২০ রান করে ফেরেন সৌম্য। এরপরই শুরু হয় দলের ছন্দপতন।বিতর্কিত আউটের জেরে ১ বলে ০ রানে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। এরপর অবশ্য বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় অর্ধ-শতক তুলে নেন শান্ত। তবে ইনিংস বড় করতে পানেননি রাজশাহীর এই ক্রিকেটার, ফিরে যান ৫৪ রান করে।এরপরই শুরু হয় টাইগার ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিল। মিডল অর্ডার ব্যাটার মোসাদ্দেক হোসেন (৫), নুরুল হাসান সোহান (০) কেউই পারেননি ইনিংস মেরামত করতে। উল্টো দলকে বিপদে ফেলে ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে।আরেক মিডল অর্ডার ব্যাটার আফিফ হোসেন এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন। লো অর্ডার ব্যাটার তাসকিন আহমেদ এদিন রান পাননি, ফিরেছেন ১ রানে। পরবর্তীতে অবশ্য নাসুমকে সঙ্গে নিয়ে আগাতে থাকেন আফিফ। তবে ব্যক্তিগত ৭ রানে আবার ফিরে যান নাসুম। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১২৭ রান।