পাথর কোয়ারি খুলে দিতে আবারও দাবি জানালেন এমপি মানিক
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ পাথর উত্তোলনের জন্য সিলেটের কোয়ারিগুলো খুলে দিতে আবারও দাবি জানালেন সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সুনামগঞ্জ-৫ আসনের এমপি মুহিবুর রহমান মানিক।
২১ মার্চ বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিদের নিয়ে প্রাক বাজেট আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি জানান।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে মুহিবুর রহমান মানিক এমপি বলেন, সিলেটের ভোলাগঞ্জ, জাফলং ও গোয়াইনঘাটের পাথর কোয়ারি থেকে দীর্ঘদিন পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় একদিকে বিদেশ থেকে পাথর আমদানি করতে হচ্ছে, অপরদিকে সিলেটের হাজারো পাথর ব্যবসায়ী পথে বসেছেন এবং লাখো শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
এমপি মানিক বলেন, পরিবেশের দোহাই দিয়ে ২০১৯ সালে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়। এছাড়া জাফলং, শাহ আরেফিন টিলা, বিছনাকান্দি, লোভাছড়া কোয়ারি থেকেও পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়।
সিলেটের এসব পাথর কোয়ারির ওপর সুদীর্ঘকাল থেকে নির্ভরশীল লাখো শ্রমিক, ব্যবসায়ী। গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাটসহ সীমান্ত জনপদের সব ক’’টি উপজেলার মানুষজন, ব্যবসা-বাণিজ্যও এসব পাথর কোয়ারির আয়-রোজগারের ওপর নির্ভর করে চলে আসছে সুদীর্ঘকাল থেকে।
পাথর কোয়ারি বন্ধ থাকায় বেকারত্বের মুখোমুখি হয়ে চরম অমানবিক পরিবেশে কাটছে এই অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা। অভাব-অনটন আর ঋণের চাপে দিশাহারা হাজার হাজার পাথর ব্যবসায়ী। বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি না করে তাদের কর্মসংস্থান বন্ধ করে দেয়ায় চরম অসন্তোষ চলছে গোটা উত্তর সিলেট অঞ্চল জুড়ে।
তিনি বলেন, বিদেশ থেকে পাথর আমদানি না করে নদীর তলদেশ যে পাথরে ভরাট হয়ে গেছে সেই পাথর উত্তোলনের মধ্য দিয়ে উন্নয়নকে আরও বেগবান করা যাবে। এরফলে বৈদেশিক মুদ্রারও সাশ্রয় হবে এবং লাখ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।
অর্থমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বিভিন্ন সভাপতি বক্তব্য দেন। সভায় অন্যদের মধ্যে অর্থপ্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, অর্থমন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, এনবিআর-এর চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর বক্তব্যে মুহিবুর রহমান মানিক এমপি একই দাবি জানিয়েছিলেন।