পুলিশি নিরাপত্তায় টাঙ্গাইল ছাড়লেন রেজা-নুর
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
টাঙ্গাইল: এর আগে ডা. জাফরুল্লাহ মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভিপি নুরের সঙ্গে দেখা করতে এসে একত্রে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে বের হন। পরে যাওয়ার পথে টাঙ্গাইল সদর থানায় পুলিশি হেফাজতে থাকা ড. রেজা কিবরিয়াকে নিয়ে তারা ঢাকার দিকে রওনা হন।এদিকে হামলার ঘটনায় মাজার ও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করে। পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।নুরুল হক নুর বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে তার মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে আসি। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায়।এসময় সহযোদ্ধারা আমাকে নিরাপত্তা দিয়ে মাজারের পাশে থাকা একটি পুলিশ ভ্যানে তোলেন। এরপরও মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়।এক পর্যায়ে নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ আমাদের সেখান থেকে টাঙ্গাইলের কাগমারি পুলিশ ফাঁড়িতে হেফাজতে নন। অন্যদিকে ড. রেজা কিবরিয়াকে টাঙ্গাইল সদর থানায় নেওয়া হয়। হামলার ঘটনায় আমাদের অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিবির পাল বলেন, ড. রেজা ও ভিপি নুর সরকার-প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে শ্লোগান দিচ্ছিলেন। এসময় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করায় তারা আমাদের ওপর হামলা করে।টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সরোয়ার হোসেন জানান, গণঅধিকার পরিষদের নেতারা মওলানা ভাসানীর মাজারে কাছাকাছি পৌঁছার পর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালান। পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।এর আগে দুপুরে মওলানা ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হন গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব নুরুল হক নুর। এসময় দফায় দফায় তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। অপরদিকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দাবি ভিপি নুরের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়।