প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের ভার্চুয়ালি আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিল

মকিস মনসুর
সত্যবাণী

লন্ডনঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মানণীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে গত ১৬ জুলাই শুক্রবার বিকাল ৫ ঘটিকায় যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উদ্দ্যোগে এক ভার্চুয়ালি আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।যুক্তরাজ‍্য আওয়ামী লীগের সভাপতি ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ শ‍রীফের সভাপতিত্বে ও যুক্তরাজ‍্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের পরিচালনায় বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মীদের উপস্থিতিতে দোয়ার মাহফিল ও আলোচনা সভার শুরুতেই বাংলাদেশের সূখ শান্তি সমৃদ্ধি ও মানণীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুসাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন বৃটেনের ব্রিকলেইন জামে মসজিদের প্রধান ঈমাম হজরত মাওলানা আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম।
ভার্চুয়ালি আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ‍্য আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি জালাল উদ্দিন,

সহ সভাপতি অধ্যাপক আবুল হাসেম, সহ সভাপতি হরমুজ আলী, সহ সভাপতি সাবেক কাউন্সিলার এম এ রহিম সি আই পি, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নঈম উদ্দিন রিয়াজ, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মারুফ আহমদ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার উজ্জামান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী, যুক্তরাজ‍্য আওয়ামী লীগের প্রবাস বিষয়ক সম্পাদক আনসারুল হক, মানবাধিকার সম্পাদক এম এ সারব আলী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়কফ সম্পাদক মিসবাহুর রহমান, শ্রম বিয়ক সম্পাদক এম এ সুজন,যুক্তরাজ‍্য আওয়ামী লীগ নেতা ভিপি খসরুজ্জামান খসরু , যুব বিষয়ক সম্পাদক তারিফ আহমদ,আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাওসার চৌধুরী,ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ছুরুক আলী,প্রচার সম্পাদক লুৎফুর রহমান সায়েদ, ম্যানচেস্টার আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব সোরাবুর রহমান. যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ মকিস মনসুর. আহমেদ হাসান. আব্দুল মালিক. এম,এ রৌফ,মাহবুব আলম চৌধুরী মাখন,আবু ইউসুফ চৌধুরী, আব্দুল ওয়ালী, আফসার খান সাদেক,জামাল আহমদ খান,অয়েস কামালী, ফলিক চৌধুরী, মোস্তফা কামাল বাবলু, দিলওয়ার হোসেন, এডভোকেট তাজুল ইসলাম, মোবারক আলী, ওয়াহিদ মিয়া, আব্দুল হাফিজ,হোসেনে আরা মতিন, কামরুন্নাহার, এলাইস মিয়া মতিন ,আহমেদ হাসান,তারাউল ইসলাম, মোজাম্মেল চৌধুরী টিপু, মোহাম্মদ আফজাল মোহিত,মোহাম্মদ শাহজাহান, নজরুল ইসলাম, নিজামুল হক নজমুল, মো সাহিদুর রহমান,খয়রুল রব মূকুল, সাহীন আহমদ চৌধুরী, শেখ জাফর আহমদ, আব্দুল মুকিদ, মাহমুদ আলী, তারেক আহমদ,সাব্বির করিম, শেখ সালামত তালুকদার, মোহিদুর রহমান, সাহেদ মোহাম্মদ ইউনুছ, আব্দুল হান্নান, আলিমুজ্জামান, রুহুল আমিন রুহেল, এ কে নাজিম, মোহাম্মদ শাহ, মোহাম্মদ মোজাহিদ আলী,কবিরুল ইস

লাম রিপন,মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন রোজ , গোলাম মোস্তফা, ফজলুল হক,আজিজুল আম্বিয়া,শাহ ইমরান আহমদ,জুবেল আহমদ বেলাল, মোহাম্মদ আহবাব হোসেন,শাহ বেলাল, আব্দুস সালাম সবুজ, মফিকুল ইসলাম, মোজাহিদ আহমদ লিটন. সৈয়দ রফিকুল ইসলাম সুহেল. সানুর খান, মুজিবুর রহমান.ও মাসুম চৌধুরী সহ যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের বিভিন্ন শাখা, আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠনের সম্মানীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।যুক্তরাজ‍্য আওয়ামী লীগের সভাপতি ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ শ‍রীফ বলেন ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই এক-এগারোর সেনাসমর্থিত অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিভিন্ন মিথ্যা-বানোয়াট, হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় গণতন্ত্রের মানসকন্যা, বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি ম্যাদার অব ইউমিনিটি দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র কারা অন্তরীণ ও গণতন্ত্র অবরুদ্ধ দিবস.বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি কালো দিন।এই দিনে ওরা শুধু জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর তনয়া শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করেনি ; বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে গ্রেফতার করেছিল, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অপমানিত করেছিল। বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশকে সত্যিকার অর্থেই দুর্যোগের মেঘে আচ্ছন্ন করে ফেলেছিল।

যুক্তরাজ‍্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক বলেন আজকের এই দিনে দেশে বিদেশে দেশরত্নের মুক্তির আন্দোলনে অবদানকারী সবাইকে আবার ও অবিরাম অভিনন্দন জানিয়ে যে কথাটি বলতে চাই বাংলাদেশের মাটিতে বিশেষ করে তৃনমূল নেতা-কমীদের আন্দোলনে ফলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন বিশেষ করে বিভিন্ন দেশের প্রবাসের আওয়ামীলীগ.ষুবলীগ.ছাত্রলীগ সহ প্রবাসীদের আন্দোলনে আন্তর্জাতিকভাবে জনমত গঠন করা ছাড়া ও প্রবাসী কমিউনিটি নেতাদের উদ্দোগে বিশেষ করে বৃটিশ এমপি. ইউরোপিয়ান পালামেন্ট ও ওয়েলস এসেম্বলি মেম্বার.সহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এর সাথে লবিং করা সহ ক্রমাগত চাপ, আপোষহীন মনোভাব ও অনড় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা তথা আমাদের প্রিয় নেত্রীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। এখানে উল্লেখ্য যে ধানমণ্ডির সুধা সদনের বাসভবন থেকে গ্রেফতারের আগে তৎকালীন সেনা সমর্থিত ওই সরকার আওয়ামী লীগ সভাপতির নামে একাধিক দুর্নীতির মামলা দেয়। এসব মামলায় দীর্ঘ ১১ মাস সংসদ ভবনে স্থাপিত বিশেষ কারাগারে বন্দি রাখা হয় তাঁকে।

গ্রেফতারের কয়েকদিন আগে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনকে দেখতে গেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা। এরপরই ১৬ জুলাই ভোর রাতে সুধা সদন ঘিরে ফেলে যৌথবাহিনী। শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে ঢাকার নিম্ন আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।গ্রেফতারের আগেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি দুর্নীতির মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় ১১ মাস বন্দি জীবন কাটাতে হয় তাঁকে। সেইসময় বিশেষ কারাগারের পাশেই সংসদ ভবন চত্বরে অস্থায়ী আদালত স্থাপন করে বিচার প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়।গ্রেফতার হওয়ার আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলটির প্রবীণ নেতা তৎকালীন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জিল্লুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়ে যান। এ ছাড়া গ্রেফতারের আগ মুহূর্তে দেশের জনগণের কাছে আবেগঘন একটি খোলা চিঠিও লেখেন তিনি।

শেখ হাসিনার অবর্তমানে শত প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখেন জিল্লুর রহমান ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। নেতাদের মধ্যে দেখা দেয়া দ্বিধা-বিভক্তিও দূর করেন তারা দুজন। পাশাপাশি শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলন চালিয়ে যান আপোষহীনভাবে। কারাবন্দি আওয়ামী লীগ সভাপতির মুক্তির দাবিতে সারাদেশে স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান শুরু করে আওয়ামী লীগ। প্রায় ১ কোটি স্বাক্ষর সংগ্রহ করে শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলন তরান্বিত করা হয় এবং সেনা সমর্থিত সরকারের ভিত নড়বড়ে করে তোলে ওই কর্মসূচি।

You might also like