প্রবাসীর বাড়িতে তল্লাশিঃ পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ সিলেট সদর উপজেলার শিবেরবাজার বড়ফৌদ গ্রামে এক প্রবাসীর বাড়িতে রাতের আঁধারে তল্লাশি চালিয়েছে সাদা পোশাকধারী একদল পুলিশ। কোনো ধরনের মামলা না থাকলেও গভীররাতে তল্লাশির নামে ঘরের মালামাল তছনছ এবং ওই প্রবাসীর মা-বোনকে প্রবাসীকে গুম করার হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন তিনি। এ ঘটনায় ২৭ মার্চ সোমবার দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের সাথে সাক্ষাৎ করে লিখিত অভিযোগ পেশ করেছেন দুবাই প্রবাসী অহেতুক পুলিশী হয়রাণীর শিকার কামরুজ্জামান। তিনি জালালাবাদ থানার বড়ফৌদ গ্রামের মৃত আব্দুন নুরের ছেলে। লিখিত অভিযোগে প্রবাসী কামরুজ্জামান উল্লেখ করেন, ২০০৮ থেকে রেমিট্যান্সযোদ্ধা হিসেবে তিনি দুবাইতে বসবাস করে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। বিভিন্ন সময়ে দেশে আসা যাওয়া করে থাকেন তিনি। সর্বশেষ গত ১৮ মার্চ দুবাই থেকে দেশে ফিরে পৈত্রিক বাড়ি বড়ফৌদ গ্রামে বসবাস করছিলেন। গত ২২ মার্চ স্ত্রীকে নিয়ে তিনি সিলেট নগরির বাগবাড়িতে চাচার বাসায় বেড়াতে যান এবং তথায় রাতযাপন করেন। ২৩মার্চ ভোর ৪টার দিকে তার অনুপস্থিতিতে তার গ্রামের বাড়িতে সাদা পোশাকে শিবেরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সালাউদ্দিন একদল লোককে পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা প্রবাসী কামরুজ্জামানের খোঁজ করে। তাকে না পেয়ে ঘরের আলমিরার তালা ভেঙে ও লাগেজে তল্লাশি চালায়। এ সময় ঘরে থাকা দুবাইয়ের ব্যবসায়িক ডকুমেন্টস ও দলিলপত্র তছনছ করে অনেক ক্ষতিসাধন করে। এ সবের কারণ জানতে চাইলে পুলিশের লোক পরিচয়দানকারীরা কোন উত্তর না দিয়ে প্রায় দেড় ঘন্টা যাবত প্রবাসীর ঘরে তান্ডব চালায়। যাওয়ার সময় দরখাস্তকারীর মা-বোনকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে যায়।পরদিন জালালাবাদ থানায় যোগাযোগ করে ওই প্রবাসী জানতে পারেন তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা কিংবা কোনো অভিযোগ নেই। এ অবস্থায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই প্রবাসী।এ ব্যাপারে অভিযোগকারী বলেন, বেআইনিভাবে পুলিশী পোশাক ও আইডি না থাকা সত্ত্বেও পুলিশ পরিচয়ে আমার ঘরের আলমারির তালা ভেঙ্গে মালামাল তছনছ আইন পরিপন্থী ও দস্যুতার শামিল। আমি দুবাইয়ে ব্যবসা করে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাই। কোনো মামলা ছাড়া গভীর রাতে বাড়িতে তল্লাশি ও গুম করার হুমকিতে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছি।এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী বলেন, অভিযোগ পেশ করা হয়েছে শুনেছি। অভিযোগপত্র হাতে পৌঁছুলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।