প্রাণচাঞ্চল্যে উচ্ছসিত সিলেটে যুবলীগের রাজনীতি
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সিলেট জেলা শাখার অধীন ৫টি উপজেলা ও ৩টি পৌরসভায় আহবায়ক কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের পদপ্রত্যাশীদের থেকে বায়োডাটা আহবান করেছে জেলা যুবলীগ।
১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সংগঠনের জেলা সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামীম আহমদ এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আগ্রহীদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দেয়ার আহবান জানিয়েছেন। যে ৮টি ইউনিটে কমিটি গঠন হবে, সেগুলো হলোঃ গোলাপগঞ্জ উপজেলা, গোলাপগঞ্জ পৌরসভা, বিয়ানীবাজার উপজেলা, বিয়ানীবাজার পৌরসভা, বিশ্বনাথ উপজেলা, বিশ্বনাথ পৌরসভা, বালাগঞ্জ উপজেলা ও সদর উপজেলা। আগ্রহীদের আগামী ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, ১ কপি রঙিন ছবি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আবেদন ফরম জেলা যুবলীগের অফিসিয়াল ওয়েব পেইজ থেকে ডাউনলোড অথবা সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করে সংগ্রহ করা যাবে।
দীর্ঘদিন পর জেলা যুবলীগের এই ৮টি ইউনিটের কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে প্রাণচাঞ্চল্য। পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উৎসাহ আর উদ্দীপনা। দীর্ঘদিন যাবত সাংগঠনিক কর্মকান্ড থেকে দূরে থাকা সাধারণ নেতা-কর্মীরাও ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে সরব হচ্ছেন দলের কর্মসূচিসমুহে।যুবলীগের একটি সুত্র জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রফিকুল ইসলাম সৈকত জোয়ারদার ও সাংগঠনিক সম্পাদক ড. রেজাউল কবির রকির নেতৃত্বে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরেশের সাথে বৈঠক করেন জেলা যুবলীগ সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামীম আহমদ। বৈঠকে জেলা যুবলীগসহ জেলার যে সমস্ত ইউনিটের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ সেগুলো পুণর্গঠনসহ সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।বৈঠকে সিলেট জেলার আওতাধীন ৫ উপজেলা ও ৩ পৌর কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বায়োডাটা জমা প্রদানের আহবান, অন্য সাংগঠনিক উপজেলার ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশনা দেয়া হয়। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী উপরোক্ত ইউনিটগুলোর আহবায়ক কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হলো। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক যুবলীগ নেতা বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ সিলেটের বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি না থাকায় নেতা-কর্মীরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। সক্রিয় কর্মসূচি না থাকায় অনেকে যুবলীগ থেকে মূল দল আ’লীগে চলে গেছেন, আবার অনেক সুযোগ্য নেতা-কর্মী বিদেশেও চলে গেছেন। ওই যুবলীগ নেতা জানান, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কমিটিগুলো গঠন করা প্রয়োজন। কমিটি গঠন হলে নেতা-কর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে।