ফাইজারের টিকা নেওয়ার পর নরওয়েতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯
আন্তজার্তিক ডেস্ক
সত্যবাণী
নরওয়ে: আরও উদ্বেগ বাড়াল নরওয়ে (Norway)। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৯। প্রত্যেকেরই বয়স ৭৫ বছরের বেশি।স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে ফাইজার/বায়ো এনটেক করোনা টিকার কার্যকারিতা নিয়ে।টিকার প্রথম ডোজ নিয়েই প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৩জন। মৃতদের সকলেরই বয়স ছিল আশির উপরে।ফলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, ৮০-র বেশি বয়সে টিকা নেওয়ার ঝুঁকি বেশি এবং কার্যকারিতা কম।এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথাও সরকারিভাবে মেনে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে যে ছ’জনের মৃত্য হয়েছে, তাঁদের বয়স ৭৫-এর ঊর্ধ্বে। অর্থাৎ এই বয়সও যে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে সুরক্ষিত নয়, তা অনেকটাই স্পষ্ট। নরওয়ের মেডিসিন এজেন্সির (NMA) তরফে জানানো হয়েছে, যেহেতু সে দেশে শুধুমাত্র ফাইজার/বায়ো এনটেকের টিকাই দেওয়া হচ্ছে, তাই মৃত্যুগুলির জন্য কাঠগড়ায় উঠবে এই ভ্যাকসিনই। তারা এও জানায়, ইতিমধ্যেই ১৩ জনের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হয়েছে।
আরও ১৬ জন কেন মারা গেলেন, তারও কারণ খুঁজে বের করা হচ্ছে।গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে নরওয়েতে শুরু হয়েছে টিকাকরণ (Corona Vaccine)। প্রায় ৩০ হাজার মানুষ টিকা নিয়েছেন ইতিমধ্যেই।কিন্তু বয়স্কদের মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই সতর্ক প্রশাসন। ঠিক কী ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে শরীরে? জানা গিয়েছে, টিকা নেওয়ার পরই বমি হচ্ছে কিংবা জ্বর আসছে। আবার অনেকের ইঞ্জেকশন নেওয়ার জায়গাটির আশপাশ দিয়ে ব়্যাশ বেরচ্ছে, চুলকাচ্ছে। সেই কারণেই বয়স্কদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নরওয়ে প্রশাসন। একইসঙ্গে মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে ফাইজার (Pfizer) কর্তৃপক্ষও। নরওয়ে সরকারকে একটি বিজ্ঞপ্তিও ই-মেল করেছে তারা। তাদের তরফে বলা হয়েছে, এখনও সংখ্যাটা বিরাট উদ্বেগজনক নয়। তাই দ্রুত বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হবে।