বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট থেকে আয় ৩০০ কোটি ছাড়িয়েছে: বিএসসিএল
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ গত তিন বছর ধরেই আয়ের ধারায় রয়েছে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে উৎক্ষেপণ করা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিএল) আয় ৩০০ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। সেই সঙ্গে কোম্পানির মাসিক আয় বর্তমানে প্রায় ১০ কোটি টাকা। যার প্রায় পুরো অংশই দেশীয় বাজার থেকে অর্জিত হচ্ছে।সোমবার (১৬ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল)।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিন বছর ধরেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ আয়ের ধারায় রয়েছে। এরই মধ্যে কোম্পানির মোট আয় ৩০০ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। পাশাপাশি বর্তমানে কোম্পানির মাসিক আয় প্রায় ১০ কোটি টাকা। এছাড়া ক্রমান্বয়ে এই আয় আরও বৃদ্ধি পাবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।সম্প্রতি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ বিএসসিএল’র সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এর আওতায় বাংলাদেশে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী ছাড়াও ডিজিএফআই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সেবার আওতায় আসবে।
স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ব্যবহার করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার শুরুর মাধ্যমে বিএসসিএল বিদেশের বাজারেও ব্যবসায়িক যাত্রা শুরু করেছে। তবে সামনের দিনগুলোতে এটি আরও বাড়বে বলেও আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দেশের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার ছাড়াও মোট ৩৮টি টিভি চ্যানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে সম্প্রচার করে। সেই সঙ্গে এই স্যাটেলাইটের আওতায় সম্প্রচার করে দেশের একমাত্র ডিটিএইচ অপারেটর ‘আকাশ’। এছাড়া দেশের দুটি ব্যাংকও ইতোমধ্যে এর মাধ্যমে এটিএম সেবা দিচ্ছে। পাশাপাশি আরও অনেক সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনার ব্যাপারে আলোচনা চলছে।এদিকে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতি পূরণের অংশ হিসেবে বিএসসিএল দেশের ৩১টি দুর্গম ও প্রত্যন্ত দ্বীপাঞ্চলের মোট ১১২টি স্থানে টেলিযোগাযোগ সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে অদূর ভবিষ্যতে আরও বেশি দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকার সুবিধাবঞ্চিত জনগণকে এই স্যাটেলাইটের সেবার আওতায় আনার কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।